গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার ৯টি মামলায় জামিন পেয়েও মুক্তি মিলছে না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। কারণ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার এক মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে রমনা থানার এ মামলাসহ দুটিতে জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে পল্টন থানার এক মামলায় জামিন দেন আদালত। তবে রমনা থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেওয়া হয়। তাই আপাতত আমীর খসরুর মুক্তি মিলছে না বলে জানান তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেট ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি তাকে দুটি মামলায় জামিন দেন আদালত। এরপর ১৮ জানুয়ারি মোট ৮ মামলায় আমীর খসরুর পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে ওইদিন চারটিতে তাকে জামিন দেন। তবে বাকি চার মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় শুনানির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিন আরও দুই মামলায় তাকে জামিন দেওয়া হয়। বাকি দুই মামলার একটিতে গতকাল জামিন পেলেও অপরটিতে জামিন নামঞ্জুর হয়। গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারকের বরাবর ৮ মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। তবে তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করার আগে এসব মামলায় জামিন শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন আদালত। এরপর এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য হাই কোর্টে আবেদন করেন আমীর খসরু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ হাই কোর্ট তার জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএমকে নির্দেশ দেন।