মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পিটার হাসের সঙ্গে মঈন খানের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

পিটার হাসের সঙ্গে মঈন খানের বৈঠক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন কী করবে তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে বিএনপি বলেছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ এক দফা দাবিতে তাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন দূতাবাসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মঈন খান তার জবাব দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

বৈঠক শেষে মঈন খান ও পিটার হাসের হাস্যোজ্জ্বল ছবি দিয়ে মার্কিন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে বৈঠকের খবর প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা দূতাবাস গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, সহনশীলতা, সুশাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা গেলেই গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ড. আবদুল মঈন খানের সঙ্গে দেখা করে আনন্দিত।’ বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, আবদুল মঈন খান বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে দূতাবাসে প্রবেশ করেন। বের হন ৪টা ৫ মিনিটে। বিএনপির অপর একটি সূত্র জানায়, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৮ অক্টোবরের আগে ও পরের ঘটনা এবং নির্বাচন পরবর্তী বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জবাবে বিএনপি বলেছে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের প্রকৃত ঘটনা, গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মধ্যে ১৩ জন নেতা-কর্মীর হেফাজতে মৃত্যু, ভোটে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে আসন ‘ভাগবাটোয়ারার’ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে একতরফা ছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ভোট বর্জন করায় ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত সংসদ যে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল নয়- এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

বিএনপির সূত্রটি আরও জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের চিঠির বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি অংশ। এর মানে এই নয় যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তাদের আন্দোলন চলবে। তবে তারা কোনো সহিংসতায় বিশ্বাস করে না। তাই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বেশ দৌড়ঝাঁপ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সরকারি দলের শীর্ষ নেতা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। সবার উদ্দেশে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেন মার্কিন এই কূটনীতিক।

 

সর্বশেষ খবর