শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে ৯০ ভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে গাজার মিডিয়া অফিস। বৃহস্পতিবার টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী মধ্য গাজায় ভয়াবহ গণহত্যা করেছে, যেখানে যুদ্ধবিমান চারটি বেসামরিক বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছে। যার ফলে ৪০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।

এদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এমন নিহত ফিলিস্তিনিদের মোট সংখ্যা ২৯ হাজার ৫১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৩০০ শিশু এবং ৮ হাজার ৪০০ জন নারীও রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং ৬ হাজারের বেশি নারীসহ কমপক্ষে ৬৯ হাজার ৬১৬ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার মানুষের জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক ফিলিস্তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ইসরায়েলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলার কারণে অনেক জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সগুলো পৌঁছাতে না পারায় এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশ রয়েছে বলেও জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। প্রায় চার মাস ধরে ইসরায়েলি বর্বরোচিত হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে, যা গত ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক সংঘর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জাতিসংঘের মতে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা ইসরায়েলি আক্রমণে বাস্তুচ্যুত এবং তাদের সবাই খাদ্য নিরাপত্তাহীন। অন্যদিকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কমেছে প্রায় অর্ধেক। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।

 

 

সর্বশেষ খবর