শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
কিশোর গ্যাংয়ের ৩৮ সদস্য গ্রেফতার

জড়িত মারামারি দখল ছিনতাই ডাকাতিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানী, মহাখালী, উত্তরা ও টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরা জিরোজিরো গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ডি কোম্পানি এবং জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। টাকার বিনিময়ে মারামারি, দখলবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা।

র‌্যাব বলছে, স্থানীয় বিভিন্ন বড় ভাইয়ের হয়ে কাজ করে এসব গ্যাং সদস্য। অনেকেই এসব গ্রুপের সদস্যদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যারা এসব গ্যাং গ্রুপের মদতদাতা হিসেবে কাজ করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে কাজ চলমান রয়েছে।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং, গ্যাং কালচার, উঠতি বয়সী ছেলেদের মধ্যে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের মারামারি করা বহুল আলোচিত ঘটনা। গ্যাং সদস্যরা এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে উচ্চ শব্দে গান বাজিয়ে দল বেঁধে ঘুরে, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালায়, পথচারীদের উত্ত্যক্ত করে এবং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মারামারি করে। এ ছাড়া তারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে বিশৃঙ্খলায় কেউ প্রতিবাদ করলে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এরই ধারাবাহিকতায় মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকায় একাধিক অভিযানে কিশোর গ্যাং গ্রুপ ‘০০৭’ গ্রুপের দলনেতা আল-আমিন, জাউরা গ্রুপের দলনেতা মাহাবুব, বাবা গ্রুপের দলনেতা সাদ, হাই ভোল্টেজ গ্রুপের মনা, ডি কোম্পানির দলনেতা পাপ্পু ওরফে লন্ডন পাপ্পু ও তার অন্যতম দুই সহযোগী আকাশ ও আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর গ্রুপের দলনেতা বয়রা জাহাঙ্গীরসহ ৩৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল সেট, একটি কুড়াল, একটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি রড, ১৬টি চাকু, তিনটি লোহার চেইন, একটি হাতুড়ি, একটি উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করা মোটরসাইকেল, একটি ব্লেড এবং নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা জব্দ করা হয়। লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রতিটি গ্রুপের আনুমানিক সদস্য ১০ থেকে ১৫ জন। তারা টাকার বিনিময়ে মারামারি, দখলবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকটি গ্রুপের দলনেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে কিছু ব্যক্তি এসব গ্রুপের সদস্যদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা মদতদাতাদের হয়ে মারামারি করে। অনেকেই এ গ্রুপের সদস্যদের মূলত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এমন তথ্য আমরা পেয়েছি। তাদের হয়ে কাজ করার কারণে অপরাধ করে শেল্টার পায়। যারা তাদের নানাভাবে মদতদাতা হিসেবে কাজ করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর