মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাখাইনে রাতভর থেমে থেমে গুলি এপারে আতঙ্ক

টেকনাফ (কক্সবাজার) ও বান্দরবান প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফের দক্ষিণ-পূর্ব ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে রাতভর থেমে থেমে গোলাগুলি, মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা গেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এপারের সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে।

এপারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার রাত ৯টার পর থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পান নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, উখিয়ার পালংখালী, টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলার বাসিন্দারা। তবে সকাল ৯টার পর থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্তের এপারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার রাতভর রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশের বলিবাজার, ঝিমংখালী, কেয়ারিপ্রাং, পেরাংপুরু, নলবিলা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের ভারী শব্দ শোনা গেছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। এ সময়ে গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, ওপারে গোলাগুলির শব্দে এপারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলেছি।’ শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. আলম বলেন, ‘সারা রাত থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে। আমরা শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে যাতায়াত করতে পারছি না।’ শাহপরীর দ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘সীমান্ত ও নাফ নদে টহল অব্যাহত রেখেছে বিজিবি এবং কোস্টগার্ড।’ পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘গোলাগুলির শব্দে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তের অর্ধ লাখ বাসিন্দা। এ আতঙ্ক কবে শেষ হবে জানি না।’

এদিকে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার ৯ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। কোস্টগার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. তাহসিন রহমান বলেন, ‘সীমান্ত আগের তুলনায় অনেকটা শান্ত। এরপরও আমরা নাফ নদে টহল অব্যাহত রেখেছি। এরই মধ্যে ২ শতাধিক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছি। নতুন করে কাউকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’

এ ছাড়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা ঘুমধুম সীমান্তের পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।

সর্বশেষ খবর