মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

টাকার বিনিময়ে খুন করত তারা

দুজন ভাড়াটে খুনি গ্রেফতার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর পাংশায় অভিযান চালিয়ে দুটি ওয়ান শুটার গান, ছয়টি ককটেল এবং চারটি তাজা কার্তুজসহ দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে পাংশা উপজেলার কসবামাঝাইল ইউনিয়নের কুঠিমালিয়াট গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- পাংশার কুঠিমালিয়াট পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত কাদের মণ্ডলের ছেলে মো. কাফিল উদ্দিন ওরফে কইফে (২৭) ও কুঠিমালিয়াট মধ্যপাড়া গ্রামের মো. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে শাওন (২২)। গতকাল দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম এ তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি পাংশা থানা এলাকায় সংঘটিত রোজিনা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে আমরা কিছু বিস্ময়কর তথ্য পাই। এরপর রোজিনা হত্যায় জড়িত সন্দেহে শিহাব নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করি। শিহাবকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই। জানতে পারি পাংশা থানা এলাকার কিছু দাগি সন্ত্রাসী ভারতে অবস্থান করছে। তারা সেখান থেকে পরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে পাংশার বিভিন্ন এলাকায় কন্ট্রাক্ট কিলিং বা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পরে আমরা অভিযান চালিয়ে কাফিল উদ্দিন কইফে নামের একজনকে গ্রেফতার করি। পরে তার কাছ থেকে জানতে পারি, পাংশায় একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে যারা টাকার বিনিময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।

পরবর্তী পরিকল্পনায় তাদের টার্গেট ছিল আলাল নামের এক ব্যক্তিকে তারা হত্যা করবে। জানা গেছে, আলাল ইতোপূর্বে কইফের অস্ত্র মামলার সাক্ষী ছিল। এ ছাড়াও তাদের পরিকল্পনায় ছিল মনিরুল নামের একজনকে তারা হত্যা করবে। যার সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল ওয়াজেদের। এই ওয়াজেদ টাকার বিনিময়ে হত্যা করার জন্য তাদের ঠিক করে। এ ঘটনাগুলো সংঘটিত হওয়ার আগেই কইফে ও শাওনকে গ্রেফতার করি। এ সময় তুষার বিশ্বাস নামে একজন পালিয়ে যায়। গ্রেফতার কেইফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার খালার পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দুটি ওয়ান শুটার গান, চারটি তাজা কার্তুজ ও ছয়টি ককটেল উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম আরও জানান, গ্রেফতাররা মূলত ভাড়াটে খুনি। তাদের গ্রুপে একাধিক সদস্য রয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর