প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেছেন, মানবজাতির ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সবার দৈনন্দিন জীবনে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। গতকাল ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) তিন দিনব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও প্রযুক্তিবিষয়ক সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে (আইসিডিআরইটি-২০২৪) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনে যেসব গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে তা এ খাতে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এবারের সম্মেলনে যেসব গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়েছে তা এ খাতে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণে কাজে দেবে। সরকার সবুজ জ্বালানি নিয়ে কাজ করছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি এবং এটি চলমান রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউআইইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আইসিডিআরইটি’২৪ সম্মেলনের অর্গানাইজিং চেয়ার এবং ইউআইইউ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ইমেরিটাস ড. এম রিজওয়ান খান, ইউআইইউর স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. হাসান সারওয়ার এবং আইসিডিআরইটি’২৪ সম্মেলনের অর্গানাইজিং কো-চেয়ার এবং ইউআইইউ সিইআরের পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইসিডিআরইটি’২৪ সম্মেলনের টেকনিক্যাল চেয়ার প্রফেসর ড. ইন্তেখাব আলম। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়ন অর্থনৈতিকভাবে কীভাবে লাভবান হবে তা নিয়ে সম্মেলনে বিশদ আলোচনা করেন বক্তারা। সম্মেলনে কানাডা, তুরস্ক, নেপাল, ভুটান, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হবে। এসব গবেষণা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্পোদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী কাজে আসবে। এ বছরের সম্মেলনে ৫টি কি-নোট স্পিচ ও ১টি ইনভাইটেড সেশন উপস্থাপন করা হবে। সম্মেলনের বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে জ্বালানি গবেষণার ওপর দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করবেন।
