মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণের সংঘাতের মধ্যে গতকাল ১৭৯ জন জান্তার সশস্ত্র সেনা সদস্য প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছে বাংলাদেশে।

সকালে ৪৬ পিলার এবং বিকালে ৪৫ নম্বর পিলারের বৃহত্তর জামছড়ি গ্রামে পালিয়ে আসে তারা। তাদের মধ্যে প্রথম ২৯ জনকে বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়। বান্দরবান জেলা প্রশাসক মুজাহিদ উদ্দিন জানান, সকালে আশ্রিত ২৯ বিজিপিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়। বাকি ১৫০ জনকেও একই স্থানে রাখা হবে।

বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি)-এর অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে রেখেছে। এদিকে সোমবার বিকালে সীমান্তের ওপার থেকে নিক্ষিপ্ত গুলিতে আহত হন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ছাবের আহমেদ (৪৫)।

এদিকে সোমবার বিকালে সীমান্তের ওপার থেকে নিক্ষিপ্ত গুলিতে আহত হন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ছাবের আহমেদ (৪৫)।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ইমন ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আহত ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে জামছড়ি বিওপি ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসাসেবা চলছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ বা বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।