শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আরও এক বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে

বান্দরবান ও টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখে গতকাল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চাকঢালা সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও এক সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে গতকাল সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত ১১ বিজিবি সদর দফতর এবং পার্শ্ববর্তী বিজিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যান। তিনি সেখানে আশ্রিতদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য, মহাপরিচালকের সফরটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। সাংবাদিকদের সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি এবং এ বিষয়ে কোনো ব্রিফ করা হয়নি। সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলম বলেন, বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে হোয়াইক্যং এলাকায় ভূকম্পন দেখা দেয়। সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দারা জানান, বুধবার যে এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা  গেছে, সেটি রাখাইন রাজ্যের বলিবাজার ও কাওয়ারবিল এলাকা।  টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালীর বিপরীতে নাফ নদের ওপারে এলাকা দুটি অবস্থিত। ওই এলাকায় ব্যারাকসহ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা রয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরের গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর এক সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার আশ্রয় নেন ৬৪ জন। এর আগেও কয়েক দফায় বিজিপি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যসহ অনেকে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। বর্তমানে সব মিলিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন ২৬১ জন। তাদের নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন একটি সরকারি স্কুলে রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিস্ফোরণের কারণে টানা দুই মাস টেকনাফ উপজেলার ৭ হাজার  জেলে নাফ নদে মাছ শিকারে নামতে পারছেন না। নাফ নদের তীরের জমিতে চাষাবাদ ও কাঁকড়া আহরণ বন্ধ রেখেছে আরও ৭ হাজার মানুষ। চরম অর্থসংকটে তাদের দিন কাটছে।

সর্বশেষ খবর