রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

চূড়ান্ত পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ইরানের

♦ ইরাকে ইরান সমর্থিত ঘাঁটিতে হামলা ♦ আপাতত শান্ত মধ্যপ্রাচ্য

প্রতিদিন ডেস্ক

চূড়ান্ত পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ইরানের

হামলা-পাল্টা হামলাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া চরম উত্তেজনার মধ্যে আবারও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। এদিকে বোমারু বিমান থেকে ইরাকে ইরানপন্থি সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) সামরিক ঘাঁটির একটি কমান্ড পোস্টে হামলার খবর পাওয়া গেছে। কারা বিমান থেকে হামলা চালায়, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি। সূত্র : এনবিসি, রয়টার্স।

এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইসরায়েল তেহরানের স্বার্থবিরোধী কাজ করলে ইরান তাৎক্ষণিকভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জবাব দেবে। তিনি বলেন, ‘যদি ইসরায়েল আরেকবার দুঃসাহসিকতা দেখায় এবং ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করতে চায়, তাহলে আমাদের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক এবং সর্বোচ্চ স্তরের হবে।’ একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ইরানের ইসফাহান শহরে হওয়া হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। তবে ওই হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমির আবদুল্লাহিয়ান আরও উল্লেখ করেন, ওইদিনের ড্রোনগুলো ইরানের ভিতর থেকেই ছোড়া হয়েছে এবং কয়েক শ মিটার উড়ে যাওয়ার পর সেগুলো ভূপাতিত হয়েছে। আসলে এগুলো ড্রোন নয়, খেলনার মতো ছিল, যা দিয়ে আমাদের বাচ্চারা খেলাধুলা করে। আর এসবের সঙ্গে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ এখনো আমরা পাইনি। ইরান বিষয়টি তদন্ত করছে। তিনি এরই মধ্যে গণমাধ্যমে আসা তথ্য সঠিক নয় বলে উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, ওই হামলার ব্যাপারে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো আক্রমণাত্মক অভিযান চালায়নি। যদিও হোয়াইট হাউস বলেছে, এই বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই।

ইরাকে ইরানপন্থি বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলা : ইরাকের ইরানপন্থি সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) সামরিক ঘাঁটির একটি কমান্ড পোস্টে বিমান হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের কালসো সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলা হয়েছে। হামলার পরপরই সামরিক ঘাঁটির কমান্ড পোস্টে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পিএমএফের এক যোদ্ধা নিহত ও আরও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পার্শ্ববর্তী হিল্লা শহরের একটি হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে পিএমএফ বলেছে, বিস্ফোরণে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইরাকের ওই দুই নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, বিমান হামলার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনো জানা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোনো তৎপরতা নেই। খবরে বলা হয়, ইরাকের বিভিন্ন শিয়া মতাবলম্বী ইরানপন্থি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সমন্বয়ে পিএমএফ গড়ে তোলা হয়েছিল। পরে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রায়ত্ত নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইরাক। গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গত কয়েক মাস ধরে ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়ে আসছে পিএমএফের সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তবে গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিক থেকে মার্কিন বাহিনীর অবস্থানে হামলা বন্ধ করেছে পিএমএফ।

 

সর্বশেষ খবর