তদন্তে প্রমাণিত ৩৫ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে কক্সবাজারে কত রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। আগামী ৬ জুনের মধ্যে এ তালিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, ২০১৬ সাল থেকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কিছু ক্ষমতাধর কথিত জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে অসংখ্য রোহিঙ্গাকে জাল ঠিকানা, ভুয়া পিতা-মাতা সাজিয়ে ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডিসহ দেশের নাগরিকত্ব দিতে সরাসরি সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়নে অন্তত ৩৭০ রোহিঙ্গাকে জন্মনিবন্ধন ও ভোটার আইডি দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করেন।
এরপর ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জড়িতের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এসব রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দেওয়া-সংক্রান্ত কাগজপত্র বাতিল করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এসব রোহিঙ্গাকে ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হাই কোর্টে রিট করেন।