সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে

সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে সেনাবাহিনীকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮-এর নির্বাচনে আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা। কাজেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে উঠবে সেটিই আমাদের লক্ষ্য। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে দুই ভবন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। নবনির্মিত ভবন দুটি হচ্ছে বহুতল আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) এবং সেনাপ্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবন। এএফআইপি ভবনটি একটি ১৪তলা বিশিষ্ট আধুনিক পরীক্ষাগার। আন্তর্জাতিক মানের পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য ভবনটিতে পরবর্তী প্রজন্মের অনুক্রম, স্বয়ংক্রিয় রোগজীবাণু শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ এবং মাল্টি-হেডেড মাইক্রোস্কোপ ইনস্টল করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন সেনাপ্রাঙ্গণ ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। প্রধানমন্ত্রী সেনা কেন্দ্রীয় মিলনায়তন প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

ভবন দুটি উদ্বোধনের পর ‘প্রধানমন্ত্রীর দরবারে’ দেওয়া ভাষণে সরকার প্রধান বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যে কোনো সেনাবাহিনীর ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস থাকা একান্তভাবে জরুরি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। আমার প্রচেষ্টা ছিল সেনাবাহিনীর প্রতি যেন সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার হয়। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন যে কোনো দুঃসময়ে জনগণের পাশে আছে এবং একটি ভরসাস্থল হিসেবে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

যে সেনাবাহিনীর ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস থাকে না তারা কখনো কোনো রণাঙ্গনে বিজয় অর্জন করতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন তারই ভিত্তিতে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা চাচ্ছি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আধুনিক জ্ঞানসম্পন্নভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা। শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যে অবদান রাখছে তাতে প্রত্যেকটি দেশ তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে থাকে। কাজেই সেটাকে আরও উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।

সর্বশেষ খবর