সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

চাকরির বয়স বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাকরির বয়স বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে সুপারিশ পাঠিয়েছে তা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করব। মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারের আপাতত কোনো চিন্তা নেই। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।  চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, বয়সসীমা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দেবেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কথা বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বয়সসীমা বাড়ালে অবসরের সময় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এরপরও চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। বাস্তবতা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী। আমলাদের সন্তানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে সরকারের আপাতত কোনো চিন্তা নেই। আমাদের অন্য বড় কাজ আছে। এরপরও যদি ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়, সেখানে সবাই পড়াশোনা করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীকে সামনে পেলে অনেকে অনেক দাবি তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়টা সবার জন্য। এখানে সব ধরনের মানুষ ভর্তির সুযোগ পায়।  প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানোর কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি সুপারিশ করেছেন। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

 উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে চাকরিপ্রার্থীরা। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা ৩২ বছর পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশ করতে পারেন।

সর্বশেষ খবর