শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

গরম কমলে বড় আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গরম কমলে বড় আন্দোলন

গরম কমলে আরও বড় আকারে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, এ আন্দোলন আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার আন্দোলন নয়।

এ আন্দোলন হবে জিনিসপত্রের দাম কমানোর, ঋণের বোঝা কমানোর। এ আন্দোলন হবে বিদ্যুতের দাবি আদায়ের আন্দোলন। অপেক্ষা করুন, খুব গরম না? একটু একটু কমছে তো! গরমটা যখন কমবে, তখন আরও বড় আকারে আমরা রাস্তায় আসব।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অবস্থান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক দল সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংগঠনের সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কোনো আপস নেই। এ সরকারকে মানি না এবং মানবও না। দেশের মানুষের জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। কারণ এ সরকার লুটেরাদের সরকার। যাদের কিছুই ছিল না, দুই পাড়ে ভাঙা গাল; এখন লাখো-কোটি টাকা কামাইয়ের পরে ওই ভাঙা গাল ফুলে হয়েছে তাল তাল। কত সুন্দর চেহারা! আওয়ামী লীগ সারা দেশের জনগণকে অসুস্থ করে নিজেদের চেহারা ভালো করেছে। তবে আওয়ামী লীগের সব লোকও এ সরকারের সঙ্গে নেই। যদি থাকত তাহলে তারা (উপজেলায়) ভোট দিতে যেত। তিনি আরও বলেন, অনেকেই ভাবছেন কিছুই তো হলো না। সরকার মনে হয় টিকেই গেল! পাঁচ বছর বাদ দেন। আগামী তিন মাস বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করার টাকা পর্যন্ত এ সরকারের কাছে নেই। আমাদের রপ্তানি বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই। কেবল বিদেশিরা যদি আমাদের ডলার দেয় তাহলে এ দেশ বাঁচতে পারে, না হলে বাঁচতে পারবে না। সুতরাং সরকার থাকে কি না তার কোনো ঠিক নেই। ৭ জানুয়ারির পর বিরোধী দল দুর্বল হয়নি, আমরা আমাদের জায়গায় আছি।

সর্বশেষ খবর