শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
চতুর্থ দফায় লোকসভা নির্বাচন

২১ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা কোটিপতি ৩৬০

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

ভারতের সাত দফা লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ আগামী ১৩ মে সোমবার। এ ধাপে ১০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলজুড়ে ৯৬টি সংসদীয় আসনে ভোট নেওয়া হবে।প ্রার্থী ১,৭১৭ জন। যার মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও সেলিব্রেটি। চতুর্থ ধাপের প্রার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে ৪৭৬ জন (২৮ শতাংশ) প্রার্থী কোটিপতি। ভোট নজরদারি সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ              প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য দিয়েছে। ওই যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ প্রার্থী নিজেদের সম্পত্তি ‘শূন্য’ বলে জানিয়েছেন। চতুর্থ দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি প্রার্থী স্বতন্ত্র ১২২ জন,  বিজেপির ৬৫, কংগ্রেসের ৫৬, বিএসপির ২৭, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির ২৪ এবং ভারত রাষ্ট্রীয় সমিতি (বিআরএস) এবং তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-এর ১৭ জন করে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন।

চতুর্থ দফায় সবচেয়ে বিত্তবান প্রার্থী হলেন তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ড. চন্দ্রশেখর পেমমাসানি, যার মোট সম্পদ ৫,৭০৫ কোটি রুপিরও বেশি। এরপরই রয়েছেন তেলেঙ্গানার চেভেল্লা আসনের বিজেপি প্রার্থী কোন্ডা বিশ্বেশ্বর রেড্ডি, তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪,৫৬৮ কোটি রুপিরও বেশি। বিত্তবান প্রার্থীদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি প্রার্থী প্রভাকর রেড্ডি ভেমিরেড্ডি, তার সম্পত্তির পরিমাণ ৭১৬ কোটি রুপির বেশি। প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে কম সম্পত্তি রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের বাপাতলা আসনের প্রার্থী কাট্টা আনন্দ বাবুর। হলফনামায় স্বতন্ত্র দলের এই প্রার্থী নিজের সম্পত্তির হিসাব দিয়েছেন মাত্র ৭ রুপি। 

যতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার মধ্যে ৩৬০ জন প্রার্থীর (২১%)  বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২৭৪ (১৬%) জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগ। ১১ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে, ৩০ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে, ৫০ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলা রয়েছে, পাঁচজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে, ৪৪ জনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য রাখার মামলা। বিভিন্ন মামলায় ১৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিজেপির। দলটির ৪০ জনের বিরুদ্ধে এই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এরপরই কংগ্রেসের ৩৫ জন, ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির ১২ জন, বিআরএসের ১০ জন, টিডিপির ৯ জন, সমাজবাদী পার্টির সাতজন, অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর তিনজন, তৃণমূল কংগ্রেসের তিনজন, বিজেডির দুজন, আরজেডির দুজন, শিবসেনা (একনাথ সিন্ধে গোষ্ঠী) দুুজন এবং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে গোষ্ঠী)-এর দুজন প্রার্থী। চতুর্থ ধাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া ১৭১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৪৪ জনের (৩৮%) শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাস, ৯৪৪ জন (৫৫%) স্নাতক কিংবা তার অধিক ডিগ্রি রয়েছে, ৬৬ জন ডিপ্লোমা হোল্ডার, ৩০ জন প্রার্থী কেবলমাত্র শিক্ষিত বলে নিজেদের উল্লেখ করেছেন, ২৬ জন প্রার্থী নিজেদের অশিক্ষিত বলে হলফনামায় ঘোষণা দিয়েছেন।

এ দফায় যে কজন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তার মধ্যে ১৭০ জন (১০ শতাংশ) প্রার্থী নারী, সর্বাধিক ৬৪২ জন প্রার্থীর গড় বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর, ৮৪২ জন প্রার্থীর গড় বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছর, ২২৬ জনের গড় বয়স ৬১ থেকে ৮০ বছর। চতুর্থ দফায় যে ৯৬টি লোকসভা আসনে ভোট হতে চলেছে তার মধ্যে ৫৮টি আসনে (৬০%) লাল সতর্কতা জারি রয়েছে।

সর্বশেষ খবর