শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

কালবৈশাখিতে লন্ডভন্ড ফরিদপুরে কয়েক গ্রাম

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে কালবৈশাখির তাণ্ডবে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও কয়েক শ গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় বাড়ির বিদ্যুতের মিটার ও চালের টিন উড়ে গেছে। ঝড়ের পর থেকে ফরিদপুর সদরের কানাইপুর, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা উপজেলাসহ অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার পর গতকাল সকালে চালু হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কালবৈশাখির তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় পুরো এলাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, মাইটকুমরা, শেখপুর, ছত্তরকান্দা, রূপাপাত ইউনিয়নের কুমরাইল, কাটাগড়, কলিমাঝি, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া, জয়পাশা ও তামারহাজি। অন্যদিকে আলফাডাঙ্গা উপজেলার টাবনি, হেলেঞ্চা, পাড়াগ্রাম, বানা, বারাংকুলা, চরডাঙ্গা এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার ওবায়দুর রহমান জানান, সন্ধ্যার কালবৈশাখির ঝড়ে বোয়ালমারীর সহস্রাইল বাজার থেকে আলফাডাঙ্গা সড়কে বড় কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে ছোটবড় যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে আমরা গাছপালা অপসারণ করেছি। বর্তমানে এসব এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোর্শেদুর রহিম জানান, ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মেইন লাইন কানাইপুরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ অনেক জায়গায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বোয়ালমারীর জয়পাশা, ময়েনদিয়া এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। আলফাডাঙ্গারও কয়েকটি জায়গায় বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইনের ক্ষতি হওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে বিলম্ব হতে পারে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য আমরা এখনো পাইনি। প্রকৃত তথ্য সংগ্রহে কাজ করছি। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন ও আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ খবর