শিরোনাম
শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

চারে চার জয় তবুও অতৃপ্তি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

হাতে আছে ১২ বল। রান প্রয়োজন ২১। জিম্বাবুয়ের জন্য টার্গেটটা বেশ সহজই ছিল। তবে মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান সেই সহজ টার্গেটটাই কঠিন করে দিলেন। ১৯ নম্বর ওভারে মুস্তাফিজ ৭ রান দিয়ে নিলেন ১ উইকেট। পরের ওভারে সাকিব টানা দুই বলে দুই উইকেট শিকার করে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করে দিলেন। মুস্তাফিজ-সাকিবের দুরন্ত বোলিংয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। দুরন্ত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করলেও ব্যাটিংয়ের অতৃপ্তি থেকেই গেল।

চট্টগ্রাম থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ জিতে ঢাকায় ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। জিম্বাবুয়েকে প্রথম তিন টি-২০ ম্যাচেই পরাজিত করেছে টাইগাররা। গতকাল মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল নাজমুল বাহিনী। জিম্বাবুয়েকে হারাল ৫ রানে। টানা চার ম্যাচ জয় করে টাইগাররা এবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার অপেক্ষায় আছে। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাট হাতে মাঠে নেমে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষবার আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য। সে সময় খুব একটা ভালো করতে না পারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগান। ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কায়। উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন তানজিদ। তিনি ৩৭ বলে ৫১ রান করেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মারে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান সিরিজে এটা তার দ্বিতীয় অর্ধশত রান। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৬৭ রান করেন তানজিদ। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে শতরানের জুটিই শেষ কথা। এরপর বালির বাঁধের মতোই ভেঙে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। বাংলাদেশ ১০১ রান করে কোনো উইকেট না হারিয়েই। এরপর মাত্র ৪২ রান করতেই হারায় ১০ উইকেট! হৃদয় ১২, শান্ত ২, সাকিব ১, জাকের ৬, রিশাদ ২, তাসকিন ০, তানজিম ৬, মুস্তাফিজ ৩ এবং তানভির ৩ রান করেন। ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রান করে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে লুক জঙ্গুয়ে মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও রিচার্ড এনগারাবা ও ব্রায়ান বেনেট ২টি করে এবং সিকান্দার রাজা ও ব্লেসিং ১টি করে উইকেট শিকার করেন। জিম্বাবুয়ে ১৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শূন্য (০) রানেই প্রথম উইকেট হারায়। তাসকিনের বলে সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রায়ান বেনেট। দ্বিতীয় উইকেটও শিকার করেন তাসকিন। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে ১৭ রানে বোল্ড করেন তাসকিন। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনে তৃতীয় আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। তিনি ওপেনার মারুমানিকে ১৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে শিকার করেন। সাকিব ৩.৪ ওভার বোলিং করে ৩৫ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট।

শেষ ওভারে সাকিব ম্যাজিকেই জয় পায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১৩ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। সাকিব প্রথম ৩ বলে ৭ রান দেন। চতুর্থ বলে মুজারাবানি এগিয়ে এলে সাকিব ওয়াইড বল দেন। উইকেটরক্ষক জাকের আলী স্ট্যাম্পিং করেন মুজারাবানিকে। পরের বলে রিচার্ডকে বোল্ড করেন সাকিব। মুস্তাফিজ মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। তাসকিন ২০ রান দিয়ে ৪ ওভারে ২ উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও রিশাদ ৬ রানে ১ উইকেট নেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে ক্যাম্পবেল সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন। জিম্বাবুয়ে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রান করে অলআউট হয়। বাংলাদেশ জিতলেও ফিল্ডিংয়ে বেশ কটি ক্যাচ মিস করে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করেছে। এদিকে ম্যাচ শুরুর আগে প্লেন ক্র্যাশে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ আসিম জাওয়াদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সর্বশেষ খবর