বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফলপ্রসূ আলোচনা আইএলওর সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফলপ্রসূ আলোচনা আইএলওর সঙ্গে

আনিসুল হক

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে টানা তিন দিনের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধনে  কিছু কিছু বিষয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে এ আইন সংশোধন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শ্রম আইন সংশোধন নিয়ে আইএলওর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে টানা তিন দিনের বৈঠক শেষে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। ঢাকায় নিযুক্ত আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন। আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

আনিসুল হক বলেন, আমরা তিন দিন ধরে আইএলওর প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছি। তাদের প্রতিটি বিষয় নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেছি, মতবিনিময় করেছি। আমার মনে হয়, এ রকম মতবিনিময়ের মাধ্যমে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, সেটি শুধু অংশীজনদের জন্যই ভালো নয়, এই আলোচনা আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা শ্রম আইন সংশোধন করছি। আইন সংশোধনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএলও। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এ বিষয়ে কিছু সাজেশন দিতে চায়। যে আইনটি হচ্ছে, সেটি যাতে আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্টের সাজেশনগুলো যাতে কমপ্লায়েন্ট হয়, সেই বিষয়ে তাদের বক্তব্য ছিল। আইএলওর কমিটি অব এক্সপার্ট আইনটি দেখেছেন, পড়েছেন, সেখানে তাঁরা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আইএলওকে যে সহযোগিতা করার কথা, সেটি সরকার চালিয়ে যাচ্ছে। সে জন্যই মূলত তিন দিন ধরে শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে ‘এক্সারসাইজ’ করা হচ্ছে। এখানে কিছু কিছু বিষয়ে তাঁরা সংশোধনের কথা বলেছেন। যেসব বিষয় গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমরা যে থ্রেসহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের সম্মতির হার) ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছি, তারা এটির প্রশংসা করেছেন। আমরা ২০১৭ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, এটি আমরা ক্রমে কমাব। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রমেই কমানো হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনটি বাংলাদেশের বাস্তবতা ও দেশে শ্রমিক অধিকার যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাস্তবায়ন, প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করতে চেয়েছিলেন সেভাবেই করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর