শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

সম্পর্ক উন্নয়নে স্পষ্টতই যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ আছে

--- হুমায়ুন কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক

সম্পর্ক উন্নয়নে স্পষ্টতই যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ আছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যকার বিশ্বাসের জায়গাটিতে যে চিড় ধরেছিল তা মেরামতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবারের সফরে এমনটি বলে গিয়েছেন। তিনি বলেন, দুই দেশের কাছেই উপাদেয় ভবিষ্যতের বিষয়গুলো নিয়ে তারা কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে অর্থনৈতিক এবং জলবায়ু এসব বিষয়ে তারা কাজ করতে আগ্রহী। আমি বলব যে, স্পষ্টতই যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে এক ধরনের আগ্রহ আছে। আর এই সম্পর্কটিকে নতুন গতি সঞ্চার করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। বাংলাদেশের দিক থেকে আমরা কীভাবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাব বা গ্রহণ করব তার ওপর নির্ভর করবে সম্পর্কটি কতটা গতি লাভ করবে বা বিস্তৃতি লাভ করবে। হুমায়ুন কবির বলেন, আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র তাদের দিক থেকে ইতিবাচকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে চায়। এখন বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কতটা এগিয়ে যাবে তা আমাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আর সেখানেও অভ্যন্তরীণভাবে আমরা একে অপরের সঙ্গে কতটা পরিমাণে সহমত আছি তার ওপর নির্ভর করবে। যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশের অনেক কঠিন ইস্যু নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। আর এই কঠিন ইস্যুকে সহজ বানাতে চাইলে অভ্যন্তরীণ জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। দেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা টানাপোড়েন পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া বিষয়ে ডোনাল্ড লু যে ইঙ্গিত দিয়েছেন সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো কেমন হবে এবং তা কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে তার প্রধান নিয়ামক শক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা বা রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের জনগণ। এ ক্ষেত্রে বাইরের আমাদের যে বন্ধুরা আছে তারা আমাদের পরামর্শ দিতে পারে, তারা কোন জিনিসটা ভালো সেটা আমাদের বলতে পারে। তবে তারা এটি পরিবর্তন করবে না, পরিবর্তন আমাদেরই করতে হবে। আমাদের জনগণ বা বাংলাদেশের মানুষকে এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ জন্য এ সফরে ডোনাল্ড লু যা বলেছেন তা সঠিক। তারা তাদের দিক থেকে যে পরামর্শ দেওয়ার ছিল সেটা তারা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এটি গ্রহণ করি বা না করি তা আমাদের সিদ্ধান্ত। করলে ভালো আর না করলে চ্যালেঞ্জগুলো থাকল। ঠিক আছে এটি থাকল একটি বিষয়। তবে বিস্তৃত পরিসরে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আরও অন্যান্য জায়গায় বিষয়গুলো আছে, যেখানে কাজ করার সুযোগ আছে। সেটাতে তারা কাজ করতে আগ্রহী।

সর্বশেষ খবর