মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

আমেরিকার মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ

আসিফ ইকবাল

স্বপ্নের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সচ্ছল জীবনযাপনের জন্য বাংলাদেশের বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। জাতীয় দলে ক্রিকেট খেলেছেন, এমন বহু ক্রিকেটারও এখন দেশটিতে পরিবারসহ বাস করছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দল এর আগে দুবার দেশটিতে ক্রিকেট খেলেছে। ২০১৮ সালে লডারহিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ ম্যাচ খেলেছিল দুটি। প্রায় ২৮ বছর আগে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ যখন সহযোগী দেশ ছিল, তখন পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছিলেন আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, খালেদ মাহমুদ সুজনরা। ওই সফরে কানাডার টরন্টোয় একটি ওয়ানডে খেলেছিলেন ক্রিকেটাররা। সে অর্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একেবারেই অপরিচিত নয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে। যদিও টি-২০ বিশ্বকাপগামী দলের ১০ ক্রিকেটারের এটাই প্রথম সফর স্বপ্নের দেশটিতে। ২ জুন ২০ ওভারের বিশ্বকাপ শুরু। ডালাস ও নিউইয়র্কে দুটি ম্যাচ খেলবেন নাজমুলরা। ৮ জুন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ১০ জুন নিউইয়র্কে টাইগারদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপে বাকি দুটি ম্যাচ সেন্ট ভিনসেন্টে ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপাল। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চের প্রস্তুতিমূলক হিসেবে স্বাগতিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় হিউস্টনের প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্স মাঠে খেলবে দুই দল প্রথম ম্যাচ। দুই দলের পরস্পরের বিপক্ষে এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ ২৩ ও ২৫ মে। দেশটিতে টাইগার ক্রিকেটাররা পা রাখেন ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে। ১৫০ কিলোমিটার গতির টর্নেডোয় সেদিন লন্ডভন্ড হয়ে যায় প্রেইরি ক্রিকেট কমপ্লেক্সের অস্থায়ী কাঠামো। এরপর ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই ধারণা করেছেন, প্রথম ম্যাচ বাধাগ্রস্ত হবে। কিন্তু সেদিনই সূর্য ওঠে। দুই দিন পর মাঠে অনুশীলন করেন নাজমুলরা। সিরিজের আগে গতকাল শেষ অনুশীলন করেন ক্রিকেটাররা। সিরিজে খেলবেন না বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। ডান হাতি ফাস্ট বোলারকে শতভাগ ফিট নিয়ে নাজমুল বাহিনী বিশ্বকাপ খেলতে চাইছে। শুধু এ সিরিজের জন্য টাইগারদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও হাসান মাহমুদকে। টি-২০ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সহযোগী আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০ দলের বিশ্বকাপের ৫৫ ম্যাচের ১৬টি হবে যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভেন্যুতে। বিশ্বকাপে অংশ নিতে বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েই গেছে টাইগাররা। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারদের নিয়ে মার্কিনিরা দল গড়েছে। রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার কোরে অ্যান্ডারসন। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নাজমুল বাহিনীর মূল ফোকাস ব্যাটিং। টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে, মার্কিনিদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলে ছন্দহীন ক্রিকেটাররা ছন্দে ফিরুক। লিটন দাস, তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার থেকে ওপেনিং জুটি বেছে নিক। খালেদ মাহমুদ সুজন মার্কিনিদের বিপক্ষে সিরিজে টাইগারদের এগিয়ে রেখেছেন, ‘মার্কিন দলটিতে কোরে অ্যান্ডারসন রয়েছে। তাতে কিছু যায় আসে না দলের। সিরিজে পরিষ্কার ফেবারিট বাংলাদেশ।’ খালেদ মাহমুদ টাইগারদের ফেবারিট বললেও মার্কিন স্কোয়াডে রয়েছেন অ্যান্ডারসন। যিনি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ৪১ বলে ১০ ছক্কায় ৯৪ রান করেছিলেন। দলটির কোচ স্টুয়ার্ট ল আবার টাইগারদেরও অন্য যে-কারও চেয়ে ভালো চেনেন। ২০১১-১২ মৌসুমে টাইগারদের হেড কোচ ছিলেন। ২০১৬ সালে টাইগার অনূর্ধ্ব-১৯ দলেরও কোচ ছিলেন। সুতরাং তিনি সাকিব, মাহমুদুল্লাহ, নাজমুলদের ভালোভাবেই চেনেন ও জানেন।

 

 

সর্বশেষ খবর