ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে- ক্ষমতাসীনদের এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘কখনোই এ ধরনের আন্দোলনে ইন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এসব আন্দোলন তাদের নিজস্ব, তাদের প্রফেশনাল জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা করছেন, ছাত্ররা করছেন, ছাত্রীরা করছেন।

আমরা এখানে ইন্ধন দিতে যাব কেন? প্রশ্নই ওঠে না। তবে এসব আন্দোলনকে বিএনপি যৌক্তিক মনে করে। আর যেটা সত্যি সেটাকে সত্যি বলব, যেটা যৌক্তিক সেটাকে যৌক্তিক বলব, এটা আমরা সব সময় বলছি। দেশের মানুষ যদি তাদের দাবিতে এখনো ঐক্যবদ্ধ হয়, এটা আমাদের বরং অনুপ্রাণিত করে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছেলেদের যে দাবি, সেটা আমরা সমর্থন করি। এটাকে অযৌক্তিক বলার কোনো কারণ নেই। কোটাবিরোধী আন্দোলন সমর্থন করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আপনি চাকরি ক্ষেত্রে ৫৬ শতাংশ কোটা দিয়ে রাখবেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ছাত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান পৃথক দুটি আন্দোলনকে ‘যৌক্তিক’ বললেও এর মধ্যে ভিন্ন দিকও দেখছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এটাকে আমরা দুভাবে দেখি। প্রথমত, দেশের যে মূল সমস্যা, সেটা ডাইভার্ট করে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য এ ধরনের আন্দোলনকে তৈরি করা হচ্ছে। এটা আমরা একদিক থেকে দেখি। ‘প্রধানমন্ত্রী কোটাবিরোধী আন্দোলনকে অযৌক্তিক বলেছেন। ২০১৮ সালেই কোটার সমাধান হয়ে যায়, বিষয়টিতে এখন আবার কোর্টকে কেন সামনে আনা হলো?’ এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব এ আন্দোলনকে দুই কোণ থেকে দেখছেন বলে জানান। এটাকে দেশের বর্তমান সমস্যাগুলো থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা কি না, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। দলের এই মুখপাত্র বলেন, এতে মেধার বিকাশ একদমই হচ্ছে না বরং তাতে দেশের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনকে ‘অত্যন্ত যুক্তিসংগত’ বলে মন্তব্য করেন। ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের উদ্দেশ্য বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সবাই দুর্নীতিবাজ। এমনকি যারা অর্থনীতির পরিকল্পনা করছে, বাজেট তৈরি করছে, সব ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টিই প্রধান। এক্ষেত্রে ঋণের যে ফাঁদ, সে ফাঁদে পড়তে যাচ্ছি আমরা। সেই ফাঁদে পড়ে যাওয়ার কারণে তারা এখন চতুর্দিক থেকে চেষ্টা করছে একটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করার, এভাবেই দেশ চলছে। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা কারা করে, একটা ঋণ নিয়ে আরেকটা শোধ করা। দেখবেন, যারা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো চালাতে পারছে না, তাদেরই এ ধরনের কাজ করতে হয়।