বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
চীনে বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ-চীন হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জন সম্ভব

চীনা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ১৬ সমঝোতা স্মারক সই - হবে ৪৯ কোটি ডলারের বেসরকারি বিনিয়োগ। শি জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক আজ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-চীন হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জন সম্ভব

চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগসুবিধাবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -পিআইডি

চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন সে দেশে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উৎকৃষ্ট জায়গা। এমন অবস্থায় চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বেশি বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি।

গতকাল বেইজিংয়ে আয়োজিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়। চীন-বাংলাদেশ একসঙ্গে হাত মেলালে বিশাল কিছু অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশে ৪৯ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। গতকাল সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ের সাংগ্রি-লা সার্কেলে ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগসুবিধাবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন। বাংলাদেশ ও চীনের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণের এ সম্মেলন আয়োজন করে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস, বিআইডিএ, বিএসইসি, সিসিপিআইটি চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং এবং সাংগ্রি-লা সার্কেল। পরে প্রধানমন্ত্রী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে চীনা বিপ্লবের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বিকালে প্রধানমন্ত্রী চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চেয়ারম্যান ওয়াং হানিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি সিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এরপর ঘোষণা হবে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিবৃতি। সফরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আজ রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। প্রাথমিক সফরসূচিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং ত্যাগ করার কথা ছিল। সফরের কোনো সূচি পরিবর্তন না করে শুধু প্রধামন্ত্রীর দেশে ফেরার ফ্লাইট এগিয়ে আনা হয়েছে বলে বেইজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান : বিনিয়োগ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা ব্যবসায়ীদের বিশ্বের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগব্যবস্থার সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অবকাঠামো, জ্বালানি এবং লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করি চীনা বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাতে। জলবায়ুসহনশীল স্মার্ট ফার্মিং চীনের কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সহযোগিতার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চলে চীন আবাসন ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। আমি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা একটি শক্তিশালী বন্ড বাজারের বিকাশ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের তরুণ উদ্যোক্তারা বিশ্বমঞ্চে তাদের অবস্থান তৈরি করছে। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সবুজ প্রযুক্তিতে অসংখ্য সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশে বিনিয়োগের যুক্তি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ এশীয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এবং পূর্ব এশীয় প্রবৃদ্ধি সার্কেলের সংযোগস্থলে আছি। আমাদের সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর এবং স্থলপথগুলোকে আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে। বাংলাদেশের রয়েছে বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের বাজারের জন্য রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ। চীনের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টংঝু, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। বাংলাদেশ ও চীনের কয়েক শ ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা এ সম্মেলনে যোগ দেন।

যেসব সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে : বিনিয়োগ সম্মেলনের পরে বাংলাদেশ ও চীনের বেশ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তির অধীনে মোট ৪৯ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বস্ত্রশিল্প, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ, সৌরবিদ্যুৎ, ফিনটেক এবং প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানিগুলো। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল আর্থিক প্ল্যাটফরম তৈরিতে নগদ এবং চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। কৌশলগত অংশীদারিমূলক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি হিসেবে চীনের বৃহৎ কোম্পানিটির ৫ কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা রয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে বাংলাদেশের দেশবন্ধু ও চেমটেক্স গ্রুপের সঙ্গে কাজ করবে চীনা কোম্পানি চায়না কেমিক্যাল সিএনসিসি। প্রায় ৩৩ একর জমিতে বৃহত্তম পিএসএফ, পিইটি বোতল এবং টেক্সটাইল গ্রেডের কারখানা স্থাপনে প্রায় ৪০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানিটি। চায়নিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে বিনিয়োগ করতে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) এবং নিংবো সিক্সিং কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশ একটি চুক্তি সই করেছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণে ‘বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশনস লিমিটেড’ এবং সিএইচটিসি (হেনইয়াং) ইন্টেলিজেন্ট ইভি (ইলেকট্রনিক ভেহিকেলস) কোম্পানি লিমিটেড একটি চুক্তি সই করেছে। সিলেটে একটি সোলার পার্ক স্থাপনে ‘বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশনস লিমিটেড’ এবং নিংবো সান ইস্ট সোলার কোম্পানি লিমিটেড চুক্তি করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্পে বিনিয়োগের লক্ষ্যে ‘বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশনস লিমিটেড’ এবং হোশাইন সিলিকন ইন্ডাস্ট্রি কোম্পানি লিমিটেড একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে। ‘বিলিয়ন ১০’ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাংলাদেশের বর্জ্য লুব্রিক্যান্ট তেল পুনরুদ্ধার এবং পরিশোধন শিল্পে বিনিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে জুহিয়া নিউ ম্যাটেরিয়াল টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড।

ঢাকাকে মেগা সিটি হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্পেও বিনিয়োগ করবে চীন। দেশটির হংজিং ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড এবং ইবি সলিউশন লিমিটেড এ প্রজেক্টে বিনিয়োগে চুক্তি সই করেছে। এ ছাড়া ইবি সলিউশন লিমিটেডের সঙ্গে চীনের শেরিং নিউ এনার্জি টেকনোলজি লিমিটেড বাংলাদেশে স্মার্ট কোল্ড চেইন লজিস্টিক সলিউশন সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য চুক্তি করেছে। কারিগরি ও আর্থিক বিনিয়োগ সহযোগিতার সমঝোতার স্মারকের আওতায় নদী ও সড়ক পথে সিএনজি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশে ২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে চীন। এ বিষয়ে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি এবং শিজাঝুং এনরিক গ্যাস ইকুইপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। এ ছাড়া কাগজ খাতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির উন্নয়নে বিনিয়োগের কথা রয়েছে। চীনের জিবো জিনহুয়াটেং পেপার মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের নিটল-নিলয় গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। এ ছাড়া নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে টিবিআর টায়ার প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি ঝোংঝো ডংফেং মিড-সাউথ এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি। চীনা কোম্পানি শাংডুং সুনাইট মেশিনারি এবং নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে পরিবেশবান্ধব ইট তৈরি খাতে বিনিয়োগ করবে চীন। এ বিষয়ে দুই দেশ একটি চুক্তি করেছে। চীনা কোম্পানি ডালিয়াম হুয়াহান রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিক যন্ত্রপাতি খাতে নিটল-নিলয় গ্রুপের সঙ্গে বিনিয়োগের চুক্তি করেছে। লিথিয়াম ব্যাটারি ও বৈদ্যুতিক যানবাহন খাতে বিনিয়োগ করবে চীনা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জেডপি টেকনোলজি (আনহুই) কোম্পানি লিমিটেড।

চীনা বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা : তিয়েনআনমেন স্কয়ারে গতকাল বিকালে চীনা বিপ্লবের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকালে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিপ্লবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শেখ হাসিনা। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। তখন দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় এবং চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকশ দল রাষ্ট্রীয় সালাম দেয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার আশ্বাস : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চীন সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে বলে জানিয়েছেন চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চেয়ারম্যান ওয়াং হানিং। গতকাল বিকালে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, ভাইস প্রেসিডেন্টসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে এ (রোহিঙ্গা) সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করবেন। তারা (চীন) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার জন্য সহায়তা করবে। সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়, সে বিষয়ে তাঁরা যতটা সম্ভব সর্বোচ্চ সহায়তা করবেন। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ট্রেড গ্যাপ (বাণিজ্য ঘাটতি) যাতে কমানো যায়, প্রধানমন্ত্রী সে বিষয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে সিপিপিসিসি চেয়ারম্যান বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কোয়ালিটি পণ্য আমদানির জন্য তাঁরা উদ্যোগ নেবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উন্নয়ন প্রাধান্য পাবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়টি আলোচনা হবে, আমাদের ট্রেড গ্যাপ কমানোর বিষয়েও আলোচনা হবে।

সর্বশেষ খবর