শিরোনাম
বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

দেশকে সরকার রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে : ফখরুল

তিন ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকবে বাংলাদেশ ততই আরও দ্রুত রসাতলে যাবে। এই সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকবে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না। অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে  যাবে। গতকাল বিকালে নয়া পল্টনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এখন যেটা দরকার সবার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করা, আরও শক্তিশালী করা এবং রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করা। দেশনেত্রীর মুক্তিকে আলাদা করে দেখার কোনো কারণ নেই। দেশনেত্রীর মুক্তি, এই দেশের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। সবকিছুর মূলে একটা আছে সেটা আওয়ামী লীগ; এই আওয়ামী লীগকে যদি আমরা সরাতে পারি তাহলে সব বিষয় আমরা ফিরিয়ে আনতে পারব। আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম,  যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহিদ ?উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুবদলের নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দুর্নীতির প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির : দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ও নজিরবিহীন দুর্নীতির প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে গতকাল এক বিবৃতিতে জানানো হয়। ভার্চুয়াল এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়। বৈঠকে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, নজিরবিহীন দুর্নীতি দেশের ও বাইরের ব্যাংকগুলো থেকে ঢালাও ঋণ গ্রহণের ফলে ঋণ ফাঁদ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণের ওপরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদন তৈরি করে জনগণের সামনে নিয়ে আসার জন্য লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক লালমনিরহাট ও ঠাকারগাঁও সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এই সরকার সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে ভারতের ওপরে চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এ ধরনের হত্যাকান্ড ঘটছে।

সর্বশেষ খবর