সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
প্রধান বিচারপতি

শিক্ষার্থীরা আদেশ বুঝতে না পারায় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থীরা আদেশ বুঝতে না পারায় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের অর্থ সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেনি। ফলে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঝরে গেছে অনেক প্রাণ, যা মোটেই কাম্য ছিল না।’ গতকাল কোটা নিয়ে হাই কোর্টের রায় বাতিল করে রায় ঘোষণার আগে এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ রিট আবেদন নম্বর ৬০৬৩/২০২১ এ হাই কোর্ট বিভাগের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা প্রদান এবং এর কার্যক্রম স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিল। এই আদেশের ফলে ২০১৮ সালের সরকার কর্তৃক জারি করা কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যায়। কিন্তু এই আদেশটির অর্থ আমাদের শিক্ষার্থী ছেলে-মেয়েরা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগ, এই তিন বিভাগের দায়িত্ব এক দিন তাদেরই নিতে হবে। আমরা যারা বয়োবৃদ্ধ আমাদের তাদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। কবি সুকান্তের ভাষায় ‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান’। প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বিষয়গুলো আন্দোলনকারী সব শিক্ষার্থীকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। তাদের চিন্তায়, মননে, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে হবে। তাহলেই শুধু পথ হারাবে না বাংলাদেশ। টিকে থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আমাদের এই মাতৃভূমি। এর মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকব আমরা, বেঁচে থাকবে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের স্মৃতি অনাদিকাল।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা। তাঁদের প্রতি কোনো রকম অসম্মান অবশ্যই জাতি ভালোভাবে নেয় না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে যাতে আমাদের কখনো কার্পণ্য না হয়, সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর