সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নাশকতায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নাশকতায়

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিশ্বকে দেশের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে সরকার। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিপ্লোমেটিক ব্রিফিংয়ে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

কোটা আন্দোলনের নামে স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থিরা সারা দেশে নাশকতা চালিয়েছে বলে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ  বলেন, কূটনীতিক ও বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার। গতকাল রাজধানীর মিন্টোরোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জার্মানি, চীন, রাশিয়া, স্পেন, ব্রুনাই, কুয়েত, মরক্কো, ভুটান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রাজিল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভ্যাটিকান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, মিয়ানমার, রিপাবলিক অব কোরিয়া, ভারত, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর, সুইডেন, প্যালেস্টাইন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিলিপাইন, নেদারল্যান্ডস, নেপাল ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আইসিআরসি (ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রস), আইএফআরসি (ইন্টারনাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস), ইউএনও, ডব্লিউএফপির প্রতিনিধিরাও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশি কূটনীতিকদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানিয়ে কারফিউ জারির প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধসহ চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। তবে দ্রুতই সবকিছু স্বাভাবিক হবে। মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ হলেও আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমাদের বিদেশি বন্ধু ও অংশীদারদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জন রক্ষা করতে গত শুক্রবার দিনগত রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততক্ষণ বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিক, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন শিবির, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী ধর্মীয় উগ্রপন্থিরা সারা দেশে আলাদা ভাবে নাশকতা চালিয়েছে। দেশবিরোধী এই চক্রটি এর আগে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সারা দেশে নাশকতা চালিয়েছিল। এবারও তারা ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার এবং অপটিক্যাল ফাইবার ধ্বংস করায় সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু কর্তৃপক্ষের অফিস, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের অফিস, সেতু ভবন, ডিএনসিসি হাসপাতাল, পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউট, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কার্যালয়, বাংলাদেশ কলেজ ফর ফিজিসিয়ান অ্যান্ড সার্জন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কার্যালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থা ভবন, সরকারের জরুরি সেবা ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করেছে। ব্রিফ্রিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, চীনের রাষ্ট্রদূতসহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিক বক্তব্য দেন।

সর্বশেষ খবর