সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

নাম পরিবর্তন হচ্ছে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের

--- আসিফ মাহমুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাম পরিবর্তন হচ্ছে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউটের

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।’ গতকার সচিবালয়ে প্রথম দিন অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা জানান। এ ইনস্টিটিউটের নতুন নাম ‘বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’  করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর আসিফ মাহমুদ সজীব গতকাল সচিবালয়ে অফিস করেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশের ক্রীড়া বিষয়ে আপতত তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তিনটি বিষয়ের একটি শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন। অন্য দুটি বাংলাদেশে হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ভবিষ্যৎ। শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে, আমরা এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশের একটা ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে এবং সহস্র ছাত্র-জনতা মারা গেছে, সেহেতু আমরা মনে করি, তিনি এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। সে জায়গা থেকে এটা শুধু আমাদের মন্ত্রণালয়ে নয়, প্রতিটি স্থানেই এটা করা হবে। নামটা পরিবর্তন করে আমরা বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করছি।

এ বছর নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত হওয়ার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু হঠাৎই বদলে যাওয়া দেশের এ পরিস্থিতিতে এটা আয়োজন করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিষয়ে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। যে বিষয়গুলো আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কিছু কাজ করার ব্যাপার আছে। আমি যমুনায় এ বিষয়ে ইউনূস স্যারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলব। তিনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, তিনি আমাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন। আসিফ মাহমুদ এর পর যোগ করেন, ‘আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। কিছু দেশের ভ্রমণবিষয়ক বিধিনিষেধ আছে, দেখি সেটা কীভাবে সমাধান করা যায়। আর অবকাঠামোগত কিছু বিষয় আছে। মাননীয় সচিব আমাকে নিশ্চিত করেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সেগুলো শেষ হয়ে যাবে।’

বিসিবি নিয়ে নিয়মের মধ্যে থেকেই সবকিছুর সমাধানের কথা উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি অনুপস্থিত আছেন। কিন্তু বিসিবি আইসিসির অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত ফেডারেশন। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। যারা বিসিবির পরিচালক আছেন, তারা আইসিসির নিয়মের মধ্যে থেকে কীভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায়, সেটি দেখবেন। অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে তারা আমাদের পরবর্তী সময়ে জানাবেন। এ বিষয়ে আমরা প্রক্রিয়াটি চালু রাখব। অন্যান্য ফেডারেশনগুলোর সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে বসবেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমাদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা পুরো দেশকে ঢেলে সাজাতে চাই। ব্যক্তির জায়গা থেকে নয়। আমরা সিস্টেমটাকে ঢেলে সাজাতে চাই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে। যাতে যে ব্যক্তি আসুক সিস্টেম ফলো করার মাধ্যমে যে অনিয়ম-দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো যাতে আর কখনো ফিরে আসতে না পারে। তিনি আরও বলেন, গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ আমাদের সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছে। যত দিন প্রয়োজন, আমরা ততদিন থাকব দায়িত্ব পালন করার জন্য। আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের যারা আছেন, তাদের ক্ষমতা ধরে রাখা কিংবা ক্ষমতায় থাকার অভিলাষটা নেই।

সর্বশেষ খবর