♦ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ♦ দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া ♦ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর দল থেকে পদত্যাগ ♦ সংবিধান সংশোধন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ♦ প্রতিটি বিভাগে হাই কোর্ট ♦ ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জাতীয় বীর ♦ ৫ আগস্ট জাতীয় মুক্তি দিবস ♦ শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারসহ ২ সহস্রাধিক দাবি ও প্রস্তাব বিভিন্ন দলের
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় চার সপ্তাহ পর রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর ধারাবাহিকতায় গতকালও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল ৩টা থেকে শুরু করে বৈঠক রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ও জোটের পক্ষ থেকে দুই সহস্রাধিক দাবি ও প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য জাতীয় প্রতিষ্ঠান ‘প্রয়োজনীয়’ সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির জবাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আশ্বস্ত করেছেন, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তী সরকার। যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেওয়া হবে। বৈঠক শেষে ইসলামী দলগুলোর প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গতকাল প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে সাতটি ইসলামী দল। এগুলো হলো- খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন এবং নেজামে ইসলাম। এর পর বৈঠক করে ইসলামী আন্দোলন, সমমনা জোট, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম এবং সর্বশেষ বৈঠকে অংশ নেয় সদ্য বিদায়ী সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।
দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে, ‘দুবারের বেশি কেউ যেন প্রধানমন্ত্রী না হন’। শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে এবং লুটেরা দুর্নীতিবাজদের ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালে’ দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। সংবিধান সংশোধন করা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ, দেশকে ৫-৬টি প্রদেশে বিভক্ত করে ফেডারেল কাঠামোর শাসনব্যবস্থা চালু করা, প্রত্যেক বিভাগে হাই কোর্ট স্থাপন, পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা, ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যারা চাকরি নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে যাচাইবাছাই শেষে ব্যবস্থা নেওয়া। নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন ও সংস্কার, প্রশাসনিক সংস্কার, অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা সংস্কার, শিক্ষা ও আইনি ব্যবস্থার সংস্কার করা। আসনভিত্তিক বিজয়ী সংসদ সদস্যদের বাইরে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদে প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের বিধান করা, পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার বন্ধ করা, কোরআন সুন্নাহবিরোধী আইন/নীতি প্রণয়ন না করা। ছাত্র আন্দোলনে সব শহীদ পরিবারকে ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিটসহ সব সাংবাদিক হত্যার ন্যায়বিচার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা, আওয়ামী লীগের আমলে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ, কুইক রেন্টাল চুক্তি বাতিল, বিডিআর বিদ্রোহে ন্যায়বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে হত্যাযজ্ঞ ও মৃতদের তালিকা প্রকাশ, গত ৫ আগস্টকে জাতীয় মুক্তি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করা, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ও স্থাপনার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা, রাষ্ট্রের সব পর্যায় থেকে দুর্নীতি উচ্ছেদ করা, হজ-ওমরাহর খরচ কমিয়ে সহজ করা এবং সিন্ডিকেটমুক্ত করা।
এলডিপি দাবি ও প্রস্তাবনা জানিয়েছে ৮৩টি, খেলাফতে মজলিস ১৭টি, এনডিপি ৩০টি, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস ছয়টি, নেজামে ইসলামী ১৮টি, বাংলাদেশ জাসদ আটটি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৮টি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ১০টি। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, গণফোরাম আরও কিছু দাবি জানায়।
খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ, মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মুনতাসীর আলী ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী মিনহাজুল ইসলাম মিলন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেন দলটির আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের একাংশের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি। হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও মুনীর হোসেন কাশেমী। নেজামে ইসলামের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক, মহাসচিব মাওলানা মোমিনুল ইসলাম। খেলাফত আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন চরমোনাই পীর মাওলানা রেজাউল করীম, মুফতি ফয়জুল করীম, অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আশরাফুল আলম।
এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ড. রেদওয়ান আহমেদ, নেয়ামুল বসির, রুহুল আলম তালুকদার ও আওরঙ্গজেব বেলাল। বাংলাদেশ জাসদের নেতৃত্ব দেন সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মনিরুল ইসলাম মিলন ও মাশরুর মওলা। এনডিপির নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আমরা বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছি। সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ইসলামবিরোধী কোনো আইন যেন না আসে। সর্বশেষ দুবারের অধিক যেন কেউ প্রধানমন্ত্রী না হন। আন্দোলনের সব হত্যাকান্ড প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, কালবিলম্ব না করে আন্দোলনের সব হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার করার দাবি করি এবং হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সব মামলা এক মাসের মধ্যে প্রত্যাহার করার দাবি জানাই।
আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা যে আহ্বান জানিয়েছেন সে বিষয়ে মামুনুল হক বলেন, সহযোগিতার বিষয়ে আমরা সাড়া দিয়েছি। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যেন নির্বাচন দেওয়া হয়। কালবিলম্ব যেন না করা হয় সে দাবিও জানিয়েছি। তবে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি আমাদের পক্ষ থেকে।
বৈঠকের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহমেদ। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, অবশ্যই অন্তর্র্বর্তী সরকারের জন্য দ্রুত ভালো। সেটি ছয় মাস হোক ৯ মাস পরে হোক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছি। প্রশাসনে বদলি নয়, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার কথাও বলেছি।
অলি আহমেদ বলেন, পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, সংসদ নির্বাচন- এগুলোর একটা সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করার কথা বলেছি। ছয় মাস পরও হতে পারে, নয় মাস পরও হতে পারে, নির্বাচন তো হতে হবে। তবে সংস্কারের আগে নির্বাচন বাঞ্ছনীয় নয়। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব, নিজের স্বার্থ ভুলে যান, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ভুলে যান। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন, সে পরিকল্পনা করেন। তিনি বলেন, এলডিপির পক্ষ থেকে আমরা ৮৩টি সুপারিশ করেছি। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ফায়দা বা নিজেদের সুবিধার জন্য বলিনি। এর আগে ফ্যাসিবাদী কায়দায় সরকার পরিচালিত হয়েছে। মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা পায়নি, ন্যায়বিচার পায়নি মানুষ। তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। এখনো আমরা বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ মুক্ত করতে পারিনি। স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে দেশ, চাঁদাবাজ মুক্ত হয়নি। এখনো কোর্টকাচারিতে ন্যায়বিচার হচ্ছে না। মানুষ ন্যায়বিচার না পেলে এ স্বাধীনতার কোনো দাম নেই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ৫ আগস্টের পর দু-তিন দিন যে দখল, চাঁদাবাজি লুট করেছে, শুরু করেছে। এরা যদি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন বলেন দেখি দেশ চাঁদাবাজমুক্ত কীভাবে হবে? ফয়জুল করীম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে হক্কানি ওলামাদের সঙ্গে যে বিরোধ ও মতানৈক্য আছে- জামায়াতে ইসলামীর এখন সুবর্ণ সুযোগ যদি তারা মতানৈক্যগুলো মিটিয়ে দেয়। তখন জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য হওয়াটা খুব সহজ হয়ে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত হক্কানি ওলামাদের সঙ্গে মতানৈক্য না মিটবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জামায়েতে ইসলামীর সঙ্গে ঐক্য নিয়ে দূরত্ব পয়দা হবে।
অনেক দল প্রস্তাবনা করেছে এক ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একবারের প্রধানমন্ত্রী যদি শেখ হাসিনার মতো হয়, আমরা তাকেও দেখতে চাই না।
বর্তমান সংবিধানের আলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব বাংলাদেশ জাসদ দিয়েছে বলে জানান সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কার একটা বড় কাজ। রাষ্ট্রের জন্য পুলিশকে তৈরি করা। কালো আইন বাতিল। পুরো বিচারব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে। চুরি, দুর্নীতি সামাল দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দি ত দুর্নীতিবাজরা যাতে কোনোদিন নির্বাচনে আসতে না পারে। কালো টাকা বাংলাদেশর রাজনীতিতে রিসাইকেল না হয়, সেদিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে।
দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের পর দেশটাকে নতুন করে সাজাতে ব্যর্থ হয়েছি। নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানের পরও দেশ গঠনে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এবার ব্যর্থ হতে চাই না বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। শহীদের বিনিময়ে আজকে যে মুক্ত বাতাস তা যাতে জনগণ উপভোগ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, একটি অবাধ অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্র সংস্কার ও সব ক্ষেত্রে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ঘুষ, চাঁদাবাজি, দুর্নীতির পথ চিরতরে বন্ধ করা, বিগত সরকারের বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা এবং জড়িত অপরাধীদের বিচার, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের বর্বর হত্যাকাে র দৃষ্টান্তমূলক বিচার, আলেম-ওলামাসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা ও রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।