ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে দুই পক্ষ ছাড়াও তাদের মিত্ররা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি সূত্রগুলো বলছেন, মঙ্গলবার রাতে ইরানি হামলার জবাব দিতে ইসরায়েল সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিভিন্ন সূত্র বলছেন, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মতো ইসরায়েল এবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনিকে হত্যার ছক তৈরি করেছে। যে কোনো মুহূর্তে এ হামলা হতে পারে। অন্যদিকে ইরানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরায়েলে সর্বাত্মক আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়েছে। সূত্র : আলজাজিরা, রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ইসরায়েলি সম্ভাব্য পাল্টা হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান। বিশেষ করে দেশটির পারমাণবিক ও তেলের স্থাপনাগুলো নিশানা বানানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন উত্তেজনার মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খামেনি বলেন, ‘ইরান এখনো নাসরুল্লাাহর হত্যার শোকে আচ্ছন্ন। তবে শোকের মানে এই নয় যে, আমরা হতাশ হয়ে বসে আছি।’ খামেনি আরও বলেন, ‘পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ অবসানের একমাত্র উপায় হলো এ অঞ্চল থেকে আমেরিকাকে বিতাড়িত করা। আমাদের এ অঞ্চলের সমস্যা অর্থাৎ যুদ্ধ-সংঘাতের মূলে রয়েছে শান্তি ও স্থিতিশীলতার বুলি আওড়ানো দেশগুলো অর্থাৎ আমেরিকা এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ। যুক্তরাষ্ট্র এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ পশ্চিম এশিয়া থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিলে নিঃসন্দেহে যুদ্ধ-সংঘাতের অবসান ঘটবে। এর ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলো একসঙ্গে সুখশান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করতে পারবে।’
ইসরায়েলি হামলায় মার্কিন সমর্থন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা সমর্থন করেন না। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল কী করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে ইসরায়েলিদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেবে।’গাজার প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া আরও দুজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে দেশটি। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গতকাল জানিয়েছে, তিন মাস আগে গাজার প্রধানমন্ত্রী রাহি মুস্তাহা, হামাস কর্মকর্তা সামেহ আল-সিরাজ এবং সামি ওদেহকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত : বুধবার রাতে লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর হামলায় আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাধারণ সেনা থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও রয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আটজনের মধ্যে চারজন ইগোজ ইউনিটের সেনা ছিলেন।