সপ্তাহের প্রথম দিনে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৮৩ পয়েন্ট কমেছে। আর এখানে লেনদেন সামান্য বাড়লেও ৩০০ কোটি টাকার ঘরেই আটকে রয়েছে। তবে দাম কমার চেয়ে বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। শেয়ারবাজারের দরপতনের প্রতিবাদে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে গতকালও রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। এ নিয়ে তিন দিন বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করলেন বিনিয়োগকারীরা। বিএসইসি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতি ছিল।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৫৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৮৩ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে ছিল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
