রাজাদের শহর গোয়ালিয়র। পাহাড়ঘেরা শহরটি গতকাল ছিল উৎসবমুখর। ঐতিহাসিক শহরের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অভিষেক হয়েছে টি-২০ ক্রিকেটের। অভিষেক ম্যাচটি খেলে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়েই টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক ৩০ হাজার আসনের স্টেডিয়ামটির। ইতিহাসের সোনালি পাতায় ব্রাকেটবন্দি হলেও তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে বাজে ব্যাটিং করেছেন নাজমুলরা। হেরেছেন ম্যাচও। প্রথমে ব্যাটিং নেমে বাংলাদেশ ১৯.৫ ওভারে করে ১২৭ রান। জবাবে ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে জয় তুলে নেয় ভারত। ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল তারা। গোয়ালিয়রে ১৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। ২০১০ সালে এ শহরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই ম্যাচটি আবার ক্রিকেট ইতিহাসে আলাদাভাবে জায়গা করে নিয়েছে। ম্যাচটিতে শচীন টেন্ডুলকার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ইতিহাসখ্যাত এ শহরে খুবই বাজে ব্যাটিং করেছে টাইগাররা।
ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ওপেন করতে নামেন। এক বছর পর টি-২০ দলে ফিরেছেন তিনি। সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছরের ৬ অক্টোবর। হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে ভারতের বিপক্ষে ২৩ রান করেছিলেন ইমন। সেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ইমন। ভারতের লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও বাঁ হাতি পেসার আর্শদ্বীপ সিংয়ের দুরন্ত বোলিংয়ে কোনো টাইগার ব্যাটারই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করতে পারেননি। শুধু মিরাজ ও নাজমুল লড়াই করেছেন। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল ২৫ বলে ২৭ ও মিরাজের ৩২ বলে তিন চারে অপরাজিত ৩৫ রান করেন। টাইগারদের ইনিংসে সব মিলিয়ে ৪টি ছক্কা ও ৯টি চার ছিল। মিরাজ ও নাজমুল ছাড়া দুই অংকের রান করেন তৌহিদ হৃদয় ১২, রিশাদ হোসেন ১১ ও তাসকিন আহমেদ ১২। ওপেনার লিটন দাস ২ বলে ৪, ইমন ৯ বলে ৮, বর্ষীয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১, জাকের আলী ৮ রান করেন। ভারতের পক্ষে আর্শদ্বীপ সিং ও বরুণ চক্রবর্তী ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১১.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। দলের পক্ষে হার্দিক পান্ডিয়া সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন।