বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বন্ধ্যত্ব নির্ণয়ে যা করবেন

বন্ধ্যত্ব নির্ণয়ে যা করবেন

বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগছেন এমন দম্পতির প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রে স্ত্রীর সমস্যা থাকে। স্বামীর সমস্যা নির্ণয় করতে খুব বেশি খরচ বা কষ্ট হয় না। অন্যদিকে স্ত্রীর সমস্যা নির্ণয় করতে অনেক রকম পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। তেমনি একটি পরীক্ষার নাম ল্যাপারোস্কপি।

কখন করা হয় : যখন দেখা যায় স্বামীর কোনো সমস্যা নেই। এছাড়া স্ত্রীর প্রাথমিক রিপোর্টে সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি বা গেলেও তার চিকিৎসা করা হয়েছে। অন্যদিকে কমপক্ষে ছয় মাস স্ত্রীকে ওষুধ/ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়েছে। তারপরও সন্তান আসেনি এমন ক্ষেত্রে স্ত্রীর ল্যাপারোস্কপি পরীক্ষার দরকার হয়।

কীভাবে করা হয় : অপারেশন কক্ষে আংশিক বা পুরো অজ্ঞান করে এ পরীক্ষা করতে হয়। নাভী বরাবর একটি এবং তলপেটের দুই পাশে দুটি ছোট ছিদ্র করা হয়। ছিদ্রগুলোর আকার এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগের সমান। ল্যাপারোস্কপি নামের অত্যাধুনিক ক্যামেরার মাধ্যমে পেটের ভিতরে সব কিছু টেলিসিনের মতো পর্দায় দেখা যায়। পুরো পরীক্ষাটি ভিডিও আকারে সিডিতে রেকর্ড করা হয়। সময় লাগে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। চার ঘণ্টা পর বাসায় যাওয়া যায়।

কি দেখা হয় : প্রধানত দেখা হয় স্ত্রীর প্রজনন তন্ত্রের ডিম্বনালী দুটি ঠিক আছে কিনা। তাছাড়া জরায়ু, ডিম্বাশয়ে কোনো আকৃতিগত সমস্যা বা টিউমার আছে কিনা। প্রজননতন্ত্রে কোনো ইনফেকশনের লক্ষণ আছে কিনা। তাছাড়া

একটি অঙ্গের সঙ্গে আরেকটি অঙ্গ আটকে গিয়ে সন্তান ধারণে

সমস্যা করছে এমন দেখা গেলে

তা ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে

ঠিক করা যায়।

শেষ কথা : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি স্ত্রী বছরের পর বছর সন্তান ধারণের ওষুধ/ইনজেকশন নিচ্ছেন। এভাবে সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সটাও পার হয়ে যাচ্ছে। এসব দম্পতির ক্ষেত্রে স্ত্রীর ল্যাপারোস্কপি পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর মিলতে পারে প্রচলিত চিকিৎসায় কাজ হবে, নাকি আরও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন আছে।

ডা. রেজাউল করিম কাজল

সহযোগী অধ্যাপক, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর