শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রেসক্রিপশন

প্রেসক্রিপশন

কোষ্ঠ কাঠিন্যের কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে বা অর্শের কারণে মলদ্বারে ফোঁড়া হয়ে অথবা অতিরিক্ত কৃমি উপদ্রবের কারণে মলদ্বার বা সরলান্ত্রের পাশে এক প্রকার নালি ঘায়ের সৃষ্টি হয়, তাকে ভগন্দর বা Fistula বলে। Fistula দুই প্রকারের। একটি হলো সম্পূর্ণ, অপরটি অসম্পূর্ণ। Fistula নালি ঘায়ের একটি মুখ মলদ্বারের ভিতরে বা বাইরের দিকে চামড়ার ওপর অর্থাৎ যে কোনো একদিকে দেখা দিলে তাকে অসম্পূর্ণ Fistula বলে। এটা প্রকৃতগত অবস্থান অনুসারে তিন ভাগে বিভক্ত। অন্য এক প্রকার Fistula হলো মলদ্বারে Mucus Membrene বা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে প্রদাহ ও স্ফোটক হয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং ক্ষতের মুখ মলদ্বারের ভিতরে এবং অন্য মুখটি মলদ্বারের বাইরে দেখা যায়, তাকে সম্পূর্ণ Fistula বলে।

লক্ষণ : মলত্যাগের সময় অত্যন্ত জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়। এতে রোগী অত্যন্ত অস্থির হয়ে পড়ে। ফলে মলত্যাগ করতে ভয় পায়। মলত্যাগের সময় মলের সঙ্গে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে থাকে। আস্তে আস্তে ক্ষত অনেক গভীরে চলে যায়। এ ধরনের ক্ষত থেকে এক সময় গ্যাংগ্রিনের সৃষ্টি হয়ে রোগ বিস্তার করতে থাকলে এক সময় গোটা পায়ুপথ আক্রান্ত হয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। Fistula যেহেতু গোপন ও আটকানো স্থানের রোগ।  সেহেতু সবসময় এন্ট্রিসেপটিক ওষুধ ব্যবহার করতে হয় এবং আক্রান্ত স্থান টিস্যু দিয়ে মুছে পরিষ্কার রাখা ভালো। এটা বেশি দিন স্থায়ী হলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ডা. সৈয়দ জাহেদুল আলম

রেপারেটরি এক্সপার্ট

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর