জীবনের কোনো না সময় প্রতি পাঁচজন শৌখিন ও পেশাগত খেলোয়াড়ের একজন কাঁধের স্পোর্টস ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়। কাঁধ শরীরের একটি অংশ, যা তিনটি হাড়, চারটি জোড়া এবং ৩০টি পেশির সমন্বয়ে তৈরি। মানব শরীরের জোড়াগুলোর মধ্যে কাঁধের জোড়ায় সবচেয়ে বেশি নড়াচড়া হয় এবং গঠনগতভাবে অপেক্ষাকৃত কম দৃঢ় অবস্থায় থাকে। ফলে স্পোর্টস ইনজুরি ছাড়াও স্বাভাবিক আঘাতে কাঁধ বেশি আক্রান্ত হয়। ফুটবল, রাগবি, কাবাডি, হকি, হাডুডু, বক্সিং ও রেসলিং খেলায় একে অপরের সংস্পর্শে আসে এবং সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বিধায় এসব খেলায় কাঁধের ইনজুরি বেশি হয়।
প্রাথমিক চিকিৎসা : তৎক্ষণাৎ ইনজুরি হলে জোড়াকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। ফলে টিস্যু ইনজুরি ও ব্যথা কম হবে। িবরফের টুকরা টাওয়ালে বা ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে লাগালে ব্যথা ও ফুলা কমে আসবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা দুই ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিট অনবরত লাগাতে হবে। তবে এটা সহ্যের মধ্যে রাখতে হবে। এ পদ্ধতি আঘাতের ৪৮-৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। িজোড়ায় ইলাসটো কমপ্রেসন বা স্প্লিন্ট ব্যবহারে ফুলা ও ব্যথা কমে আসে। জোড়ায় আর্ম সিলিং বা স্প্লিন্ট দিয়ে উঁচু করে রাখলে ফুলা কম হবে।
এনালজেসিক বা ব্যথানাশক ওষুধ সেবন। িব্যথা ও ফুলা সেরে ওঠার পর জোড়া নমনীয় ও পেশি শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে। হাড় ভাঙলে বা জোড়া স্থানচ্যুতি হলে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
ডা. জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, হাড়-জোড়া ও ট্রমা বিশেষজ্ঞ এবং
আর্থ্রোস্কোপিক সার্জন, ডিজিল্যাব মেডিকেল সার্ভিস, মিরপুর, ঢাকা।