সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

ইমুনোথেরাপি কি এবং কেন?

অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

ইমুনোথেরাপি কি এবং কেন?

অ্যাজমা বা হাঁপানির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পন্থা হলো, যে অ্যালার্জি থেকে শ্বাসকষ্ট হয় তা যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা। তাই অ্যাজমা রোগীদের প্রথমেই অ্যালার্জি টেস্ট করে জানা দরকার কোন ধরনের অ্যালার্জি দিয়ে শ্বাসকষ্ট হয়। ওষুধ প্রয়োগ : নানা ধরনের অ্যাজমার ওষুধ  বাজারে আছে। ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজন মতো ওষুধ ব্যবহার করে রোগী সুস্থ হন।

ইমুনোথেরাপি : অ্যালার্জি দ্রব্যাদি এড়িয়ে চলা ও ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিনও অ্যাজমা রোগীদের সুস্থ থাকার অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। অ্যালার্জি ভ্যাকসিনের মূল উদ্দেশ্য হলো যে অ্যালারজেন দ্বারা অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা হচ্ছে সেই অ্যালারজেন স্বল্পমাত্রায় প্রয়োগ করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে ওই অ্যালারজেন দ্বারা রোগী শ্বাসকষ্টে বা অ্যাজমাতে যেন আক্রান্ত না হয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।

কোন বয়সে ইমুনোথেরাপি শুরু করবেন : কোন কোন ইমুনোথেরাপিস্ট মনে করেন ১-২ বছর বয়স থেকেই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। তবে মাইট অ্যালার্জির ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিচের বয়সের বাচ্চাদের ইমুনোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ইমুনোথেরাপি সফলতা প্রমাণিত, তবে অল্প বয়সে ইমুনোথেরাপি রোগ মুক্তির ক্ষেত্রে একটি অন্যতম প্রধান নিয়ামক।

ইমুনোথেরাপি জন্য আপনি কি উপযুক্ত : যেসব অ্যালারজেন অ্যালার্জি রোগের কারণ তা নিরূপণ পরবর্তী সময়ে ইমুনোথেরাপির জন্য নির্ধারণ করা হয়। ইমুনোথেরাপি শুরুর আগে মারাত্মকভাবে রোগাক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার পরই ইমুনোথেরাপি শুরু করা সম্ভব।

চিকিৎসার সুবিধা : ১. ইমুনোথেরাপি ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহকে কমানোর চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ হওয়ার পথকে বাধার সৃষ্টি করে। ২. অ্যালার্জিজনিত রোগ থেকে জটিল রোগ হওয়ার পথকে বাধা দেয় অর্থাৎ যে সব রোগী অ্যালার্জিজনিত সর্দিতে ভোগেন, তাদের যাতে অ্যাজমা না হয়, সেই পথকে বন্ধ করে। ৩. প্রাথমিক অবস্থায় রোগের অতিসংবেদনশীলতা কম থাকায় ইমুনোথেরাপি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও কম থাকে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, যে চিকিৎসাই নেন না কেন বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে নিতে হবে। এছাড়া প্রাথমিক অবস্থা থেকে চিকিৎসা নিলে উত্তম। অন্যথায় রোগের মাত্রা বেড়ে গিয়ে তা জটিলতা বাড়াতে পারে।

লেখক : অধ্যাপক এবং সিইও, অ্যালার্জি অ্যান্ড

অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর