শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস

জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভাবস্থায় মায়েদের হয়ে থাকে। জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকা সত্ত্বেও একজন মা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে কিছু সাধারণ নিয়মাবলী মেনে চলে রক্তের চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুর জন্মের পর সেই মায়ের গর্ভকালীন সময়ে যে ডায়বেটিস হয়েছিল তা অধিকাংশ সময়ে আর বিদ্যমান নাও থাকতে পারে।

কারণ : গর্ভাবস্থায় প্লেসেন্টা বা অমরা কিছু হরমোন তৈরি করে যা রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। সাধারণত প্যানক্রিয়েস রক্তের অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যদি তা সম্ভবপর না হয়, তাহলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি : (১) গর্ভধারণের  আগেই অতিরিক্ত ওজন। (২) গর্ভধারণের আগেই ডায়াবেটিস নয়, কিন্তু রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকা। (৩) পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকা। (৪) স্থানভেদে যেমন : আফ্রো-আমেরিকা, এশিয়াতে বেশি।

চিকিৎসা : (১) স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য তালিকা মেনে চলা।

(২) নিয়মিত ও পরিমিত মাত্রায় ব্যয়াম ও হাঁটা। (৩) প্রতিনিয়ত অন্তত চারবার বা তার অধিক রক্তের চিনির পরিমাণ পরীক্ষা করা। (৪) সবশেষে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের রোগীকে তার ওজন অনুযায়ী ইনসুলিন বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য ওষুধ দেওয়া। তাই গর্ভাকালীন সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

ডা. এমএস মলি

এইচএমও, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর