সোমবার, ১ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

হেলথ কর্নার

যাদের পাইলস বা পায়ুপথের অন্য কোনো রোগ থাকে তারা প্রায়ই চিন্তিত হয়ে পড়েন রমজান মাস আসলে। অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান রোজা রাখতে পারবেন কিনা, বা আবার অনেকে রোজাই রাখেন না রোগের কারণে। দেখানো হয় পাইলস-ফিসারসহ নানা সমস্যার অজুহাত। অনেকেই জানতে চান এসব রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে কিনা? আসলে এ মাসে আমাদের পানাহার বন্ধ থাকে। অপর দিকে ইফতারের সময় ও সেহেরির সময় আমরা খাই ভাজাভূজি আর উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ‘রিচ ফুড’, যেখানে থাকে মাছ মাংসসহ উচ্চমানের খাবার। শাক সবজি প্রায়শই থাকে না। আর এই স্বল্প সময়ে এত রিচ ফুড খাওয়ার কারণে নিশ্চিতভাবেই সকলের কিছু না কিছু কোষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দেয়। কোষ্ঠ কাঠিন্য হচ্ছে পাইলসসহ পায়ুপথের বিভিন্ন রোগের

 প্রধান ‘শত্রু’। তাই রমজানে পাইলসসহ পায়ুপথের রোগীদের আরও যত্নবান হতে হবে। আর যাদের আগে থেকেই পায়ুপথের কোনো রোগ আছে তাদের সেই রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। পাইলসের অন্যতম উপসর্গ হচ্ছে মলের সাথে টাটকা রক্ত যাওয়া। কোষ্ঠ কাঠিন্যের কারণে এই রক্তপাত বেড়ে যায় বা যাদের পূর্বে বন্ধ ছিল তাদের রক্তপাত শুরু হয়। আর শরীর থেকে এভাবে রক্ত গেলে বা মলদ্বারে ব্যথা বা পাইলস পায়ুপথ দিয়ে বের হয়ে আসার কারণে রোগী খাওয়া দাওয়াও ঠিকমত করতে পারেন না। ফলে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। তাই এ সময় পুষ্টিকর খাবারের সাথে যথাসম্ভব আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া, যেমন শাক, কাঁচা ফলমূল ইত্যাদি বাড়াতে হবে। আর যাদের পূর্ব থেকেই পাইলস রোগ আছে তাদের রমজানের আগেই এর চিকিৎসা করে নেওয়া ভালো। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে পাইলস অপারেশন করলে ৩/৪ দিনেই সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব। আর রমজানের সময়ও এই জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে একজন কোলোরেকটাল সার্জনের পরামর্শ নেওয়া উচিত তাহলে আশা করা যায় রমজান মাসে সুন্দরভাবে রোজা সহ অন্যান্য ইবাদত সম্পন্ন করা যাবে। প্রাথমিক অবস্থায় এ সব ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া উত্তম। অন্যথায় জটিলতা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। মনে রাখবেন এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার নয়, প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান                              

জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর