সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ক্ষীণদৃষ্টি ও অকুটেক ভেসপোর্টের সম্পর্ক

ক্ষীণদৃষ্টি ও অকুটেক ভেসপোর্টের সম্পর্ক

একজন দৃষ্টিহীন ব্যক্তির কাছে এ জগত্টা পুরোপুরি অন্ধকার। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অন্ধত্বের কেউবা আবার ক্ষীণদৃষ্টির শিকার।

ক্ষীণদৃষ্টির কারণ : ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ দূরের জিনিস প্রায় দেখতেই পান না, এমনকি দুই হাত দূরত্বের জিনিস দেখতেও অসুবিধা হয়। সাধারণত এ ধরনের সমস্যার প্রধান কারণ জন্মগত খুঁত, আঘাত, বার্ধক্য অথবা রেটিনাইটিস পিগমেনটোসা, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, মায়োপিয়া, ম্যাকুলার ডি জেনারেশন, অপটিক অ্যাট্রফি, অ্যালবিনিজম, অ্যাক্রোম্যাটোস্পিয়া, কার্নিয়াল ও পাসিটি, হেমিয়া- নোস্পিয়া, এমব্রায়োপিয়া, গ্লকোমা, স্টারগার্ডস, বর্ণান্ধতা ইত্যাদি।

ক্ষীণদৃষ্টিতে অসুবিধা : ক্ষীণদৃষ্টির ফলে জীবনের প্রাত্যহিক স্বাভাবিক কাজকর্ম কিছুই সঠিকভাবে করা যায় না। যেমন হাঁটতে বা রাস্তা পার হতে সমস্যা, বইপড়া, রান্নাবান্না করা, মুখ অস্পষ্ট দেখা, আলো কমে গেলে আশপাশের দৃশ্যমান কমে আসা।

প্রতিরোধ : বর্তমানে ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ডিভাইস অকুটেক ভেসপোর্ট। এটি চক্ষুবিজ্ঞানের অন্যতম প্রযুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রে এর গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ম্যাগনি ফায়ার, হ্যান্ড ম্যাগনি ফায়ার, অত্যাধুনিক পোর্টেবল ভিডিও ম্যাগনি ফায়ার, ব্যাটারি অপারেটিং টেলিস্কোপ যার সাহায্যে দূরত্বকে আপনি সহজেই আনতে পারেন একেবারে কাছে বা সন্নিকটে। অন্যদিকে কৃত্রিম চোখের চাহিদা বেড়েই চলেছে। জন্মগত বা দুর্ঘটনাজনিত কারণে যাদের একটি চোখ নেই বা তুলে ফেলতে হয়েছে তাদের জন্যই মুখের স্বাভাবিক গড়ন বজায় রাখতে প্রতিস্থাপন করা হয় কৃত্রিম চোখ। অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অ্যাক্রিলিক পলিমার ফাইবার দিয়ে চোখ বানানো হচ্ছে। কৃত্রিম এই চোখ লাগানোর পরও মুখের গড়নের কিন্তু কোনো অস্বাভাবিকতা আসবে না। অন্য ভালো চোখের মতোই এই কৃত্রিম চোখ ওপর-নিচ, ডানে-বাঁয়ে ঘোরানো যায়।

শুভাশিস চৌধুরী, অপটোমেট্রিস্টস্পেশালিস্ট ও অকিউ-লারিস্ট।

ফোন : ০১৭৮৯৫৫৯৯৮৮।

সর্বশেষ খবর