বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

পাইলস না রেকটাল ক্যান্সার?

পাইলস না রেকটাল ক্যান্সার?

মলত্যাগের সমস্যা একটি অতি সাধারণ সমস্যা। সব মানুষই কোনো না কোনো সময়ই মলত্যাগের সমস্যায় ভোগেন। কখনো কোষ্ঠ কাঠিন্য হয়ে পড়ে, কখনো অনিয়মিত, কখনো ডায়রিয়া, আমাশয়, মলত্যাগে ব্যথা, রক্ত যাওয়া, কালো মল ইত্যাদি। দুর্ভাগ্যবশত অধিকাংশ লোক মলের সমস্যা যেমন- রক্ত যাওয়া ইত্যাদিকে পাইলস বলে মনে করেন। কিন্তু পাইলস ছাড়াও আরও অনেক কারণে মলত্যাগের সমস্যা হতে পারে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রেকটাল ক্যান্সার (বা পায়ুপথের ক্যান্সার)। রেকটাল ক্যান্সার মরণ রোগ হলেও যথেষ্ট সচেতন হলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা যায়। সে ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে রেকটাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কি কি? রেকটাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলো হচ্ছে-এটি সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পরে দেখা দেয়, মলের সঙ্গে রক্ত বা কালো মল হতে পারে। মলের সঙ্গে মিউকাস বা আম যেতে পারে, রোগীর মলত্যাগের অভ্যাস বদলে যেতে পারে, যেমন আগে একবার হতো এখন কয়েকবার হয়, একবার পাতলা একবার কষা মল হতে পারে, কোষ্ঠ পরিষ্কার না হতে পারে, রোগী টয়লেট থেকে আসার পর আবার টয়লেটে যায় কিন্তু কোনো মল আসে না, তলপেট চিপে চিপে ব্যথা হতে পারে ইত্যাদি। এসব হলে একেবারেই বিলম্ব না করে একজন কোলোরেকটাল সার্জনের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ কোলন ও রেকটাল ক্যান্সার অর্থাৎ অন্ত্র ও পায়ুপথের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। কিন্তু দেরি হলে তেমন কিছু করার থাকে না। আমরা বসে থাকলেও ক্যান্সার বসে থাকে না। সময় ও স্রোত যেমন কারও জন্য অপেক্ষা করে থাকে না, তেমনি শরীরের মধ্যে রোগ তাদের মতো অগ্রসর হতে থাকে। তাই বিলম্ব এ ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। তাই মলত্যাগের সময় উপরোক্ত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা না নিলে এক পর্যায়ে জটিলতা বাড়ে।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান

কোলোরেক্টাল সার্জন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল। ফোন: ০১৮৬৫৫৫৫৫১১।

সর্বশেষ খবর