শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

শিশু-কিশোরদের মানসিক সমস্যা

শিশুরা নিজেদের সমস্যা বুঝতে পারে না, বলতে পারেন না। শিশুরা বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন রকম আচরণ করতে পারে কোন আচরণ কোন বয়সে স্বাভাবিক ও কোনটি অস্বাভাবিক, এগুলো অনেক বাবা-মা আত্মীয়স্বজন বুঝতে পারে না। শিশুরা পরিবারের সমস্যাগুলোকে রোগের মাধ্যমে, লক্ষণের মাধ্যমে ও আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ করে। শিশুর সমস্যা বলতে বোঝায় পরিবারেরই অন্তর্নিহিত সমস্যা।

শিশু-কিশোরদের সমস্যাগুলো এমনভাবে প্রকাশ পায়, বোঝাই যায় না যে, মানসিক সমস্যা আছে। যেমন : রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া। কান্না করা/ মন খারাপ করা। পড়ালেখায় অমনোযোগী। নেশায় আসক্ত হওয়া। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও পাড়াপ্রতিবেশী থেকে অপকর্ম ও খারাপ ব্যবহারের জন্য অভিযোগ আসে। ঘুমের সমস্যা ও দিনের বেলা ঘুমায়ে কাটানো। বুদ্ধি-শুদ্ধি কম হওয়া। কারও কথা না শোনা। বেশি  চঞ্চলতা দেখানো। কথাবার্তা, আচরণ ও ব্যবহার খারাপ করা। মাথাব্যথা ও পেটব্যথা। বারবার ফিট হয়ে যাওয়া/ মূর্ছা যাওয়া/হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হওয়া। শারীরিক লক্ষণগুলো বেশি বলা/ভয় পাওয়া ইত্যাদি। খাদ্যগ্রহণে শিশুর অনিচ্ছা। বিছানায় প্রস্রাব করা যা চার বছর বয়সের পর স্বাভাবিক না। কাপড়ে মলত্যাগ করা (চার বছর বয়সের পরে) ঘুমের সমস্যা। স্কুল পালানো, স্কুল ভীতি। বয়ঃসন্ধিকালীন সমস্যা।  অহেতুক ভয়-ভীতি। উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে যদি কোনো শিশুর লেখাপড়াও জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় তখন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো উচিত। কারণ এসব ক্ষেত্রে অবহেলা করা ঠিক নয়। প্রাথমিক অবস্থা থেকেই চিকিৎসা নেওয়া ভালো।

ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন

সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর