চলতি বছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩১৮ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ২.৮৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৩০০ কোটি ডলারের। ওভেন পোশাক রপ্তানি আয় ৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৪৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, নিট পণ্যের রপ্তানি আয় ২ শতাংশ বেড়ে ১৭২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘অর্থবছরের প্রথম মাসে ইতিবাচক সূচনা হওয়া ভালো লক্ষণ। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আমরা রপ্তানির প্রবৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত।’ ‘সাভার ও আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ২০ দিনের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই পোশাক খাত সমস্যায় পড়েছে। রপ্তানিকারকদের যেমন আকাশপথে পণ্য পাঠাতে হয়, তেমনি অতিরিক্ত চার্জও বহন করতে হয়’, বলে জানান ব্যবসায়ী নেতা। আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, ‘রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ দিক সম্পর্কে মন্তব্য করতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, জুলাইয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২.৯ শতাংশ বেড়ে ৩৮২ কোটি ডলার হয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৩৭১ কোটি ডলার। জুলাই মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানি ১১.২ শতাংশ বেড়ে ৮০.২ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ১৮.৭ শতাংশ বেড়ে ২০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে রপ্তানি হয়েছে ১৬.৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয় ৪.৫ শতাংশ বেড়ে ৯৮.৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের আয় ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫৯ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১.৭ শতাংশ বেড়ে বিশেষায়িত টেক্সটাইল সেক্টরের রপ্তানি আয় হয়েছে ২৬.৬ মিলিয়ন ডলার।