শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

নেপালি নারীদের পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টা পাচার চক্রের

রাষ্ট্রপতি ভবনকে \'ঝুঁকিপূর্ণ\' ঘোষণা

নেপালি নারীদের পতিতালয়ে বিক্রির চেষ্টা পাচার চক্রের

বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভূমিকম্পে দুর্গত ১০ হাজারের বেশি নেপালি নারীকে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পতিতালয়ে বিক্রির পরিকল্পনা করছে আন্তর্জাতিক একটি মানবপাচার চক্র। এ জন্য দেশটিতে ওই চক্রগুলো তাদের এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। গড়ে তুলেছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। কাঠমান্ডুর বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে বুধবার ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে নেপালে। দেশটির ৮১ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পে প্রায় সাড়ে আট হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। হাজারো মানুষ তাদের বাড়িঘর হারিয়েছেন। এসব দুর্গত পরিবারের নারী ও কিশোরীদের টার্গেট করেছে মানবপাচারকারী চক্র। তারা তাদের ভালো চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে এবং অপহরণ করে অন্য দেশের পতিতালয় ও হোটেলে বিক্রির পাঁয়তারা করছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, নেপালে প্রতি বছর প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার নারী পাচার হয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের চালান করা হয়। পাচার হওয়ার বিরাট অংশ প্রতিবেশী ভারতের পতিতালয়গুলোতে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। কাঠমান্ডুতে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালক শক্তি শর্মা বলেন, 'পাচার চক্রের সদস্যরা ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে নারীদের কাছে সহজে পৌঁছে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের অপহরণ করে। এ বিষয়ে আমরা স্থানীয়দের মাঝে জনসচেতনামূলক বার্তা প্রচার করছি। ত্রাণের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকে (চক্র) দুর্গতদের কাছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আমরা পেয়েছি।' রাজধানীতে কর্মরত পশ্চিমা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এদিকে ৮০ বছরের মধ্যে প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা হিমালয়কন্যা নেপালের রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছনের অংশকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' ঘোষণা করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। 'শীতল নিবাস' নামে বিশেষভাবে পরিচিত এই রাষ্ট্রপতি ভবনের পেছনের অংশ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে নেপালের নগর উন্নয়ন ও ভবন বিভাগের বরাত দিয়ে বুধবার জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। নগর উন্নয়ন ও ভবন বিভাগের প্রকৌশলীরা রাষ্ট্রপতি ভবনকে তিন ভাগে বিভক্ত করে তিনটি ভিন্ন রঙে চিহ্নিত করে দিয়েছেন এরই মধ্যে। লাল চিহ্নিত ঘরগুলো বসবাসের জন্য একদমই ঝুঁকিপূর্ণ বলে সেখানে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেরামতের কাজ চলছে এমন ঘরগুলোকে হলুদ রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ঝুঁকিহীন ঘরগুলোকে সবুজ রঙ্গে চিহ্নিত করেছেন প্রকৌশলীরা। প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদবকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে ভূমিকম্পের পর টানা ছয়দিন তিনি খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে অবস্থান করেন বলেও জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। এএফপি।

 

 

সর্বশেষ খবর