শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চীন সাগরে যুদ্ধাবস্থা ঘনীভূত হচ্ছে

চীন সাগরে যুদ্ধাবস্থা ঘনীভূত হচ্ছে

যুদ্ধের পরিস্থিতি ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে দক্ষিণ চীন সাগরে। এ অবস্থাকে আরও উসকে দিল মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাস্টন কার্টার চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় মার্কিন রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট পরিদর্শনে। সেখানে পৌঁছে তিনি বলেন, এলাকাটিকে চীন নিজের দাবি করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। চীন সাগরে এই নৌ মহড়া তাদের নিয়মিত কাজের অংশ। চীনের উদ্বেগের সমালোচনাও করেন তিনি। গত সপ্তাহেই আরেক পরমাণু অস্ত্রবাহী মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস লাসেন’র দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় নোঙ্গর করা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গতকাল মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আসিয়ানের শীর্ষ সম্মেলন শেষে তিনি দক্ষিণ চীন সাগরে মোতায়েন নৌ তরীতে যান। এদিকে গণমাধ্যমের এক খবরে বলা হয়েছে, রণতরী পাঠানোর পর যুক্তরাষ্ট্র চীনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে ঘিরতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, জাপান আর অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি বিমান ঘাঁটিতে ইতিমধ্যে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা জবাবে ভিয়েতনামের কাছে মহড়া শুরু করেছে ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত চীনা বিমানবহরও। ইউএসএস লাসেন চীন সাগরে ঢোকার পর থেকেই ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে বেইজিং। এই চোখ রাঙানির জবাব না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে খুব একটা সম্মানজনক হবে না। তাই পেন্টাগন আর পিছু হটতে নারাজ। দক্ষিণ চীন সাগরে ইতিমধ্যে হাজির হওয়া মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাসেনকে সাহায্য করতে আরও বেশ কিছু রণতরী পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন এবং এর মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেখানে গেলেন। চীনকে কিছুই জানতে না দিয়ে এফ-৩৫ এবং বি-১ বম্বার যুদ্ধবিমানের বেশ কয়েকটি স্কোয়াড্রন জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ায় নাকি মোতায়েন করেছেন বারাক ওবামা। বি-১ বম্বার সুপারসনিক গতিবেগ এবং দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ভয়ঙ্কর হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে। আর অবিশ্বাস্য পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে আক্রমণের ক্ষমতা রয়েছে এফ-৩৫-এর। মার্কিন যুদ্ধবিমান তাদের ঘিরছে বলে খবর পেয়েই পাল্টা শক্তি প্রদর্শন শুরু করে দিয়েছেন শি জিনপিং। চীনা নৌবাহিনীর কিছু যুদ্ধবিমান ভিয়েতনামের খুব কাছে ক্ষেপণাস্ত্রসহ মহড়া শুরু করেছে। বিবিসি, এএফপি।

সর্বশেষ খবর