বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফিরে আসছে শীতল যুদ্ধ!

সংঘাত যে কোনো মুহূর্তে

সিরিয়ায় আইএস দমন করা নিয়ে একযোগে হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে রাশিয়াও। তবে এ হামলায় সমন্বয় নেই। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো একভাবে হামলা চালাচ্ছে, অন্যভাবে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে না এভাবে রাশিয়া হামলা চালাক। দুই পক্ষের যুদ্ধ বিমানগুলো কাছাকাছি এসে হামলা চালিয়ে ফিরে যাচ্ছে। এসব যুদ্ধবিমানের মধ্যে সংঘাত যে কোনো মুহূর্তে লেগে যেতে পারে- তা নিয়ে বিশ্লেষকরা আগে থেকেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছেন। এর মধ্যে গত পরশু আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে তুরস্ক একটি রুশ যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ রুশ প্রেসিডেন্ট ভূাদিমির পুতিন। এটিকে তিনি পেছন থেকে ছুরি মারার সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। তুরস্ককে ভয়াবহ পরিণতির হুমকিও দিয়ে রেখেছে পুতিন। এর মধ্যেই সদস্য রাষ্ট্র তুরস্কের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এ অবস্থাকে নতুন করে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এদিকে গতকাল বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় একদল ক্ষুব্ধ রাশিয়ান মস্কোতে তুর্কি দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে। তারা দূতাবাস লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোড়ে। গত অর্ধ শতাব্দীতে কোনো ন্যাটো রাষ্ট্রের রুশ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানোর ঘটনা এই প্রথম। এর আগে রুশ জঙ্গি বিমান বহুবার ন্যাটো দেশগুলোর আকাশসীমা লঙ্ঘন করলেও সেগুলোকে নামানোর সাহস করেনি কেউ। তুরস্কই প্রথম। তুরস্কের সমর্থনে তাই ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টোলেনবার্গ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘জোটের সবক’টি দেশই তুরস্কের পাশে রয়েছে।’ কিন্তু রাশিয়া বলেছে, যে করে হোক যেই তুরস্কের পাশে থাকুক তাকে অবশ্যই এর ফল ভোগ করতে হবে। ফলে উত্তেজনা বাড়ছে। এএফপি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর