শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আদালতে যাচ্ছেন সোনিয়া-রাহুল

কলকাতা প্রতিনিধি

আদালতে যাচ্ছেন সোনিয়া-রাহুল

ভারতের সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় থাকা দল কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধী ও দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি ও সোনিয়ার ছেলে রাহুল গান্ধী আজ আদালতে যাচ্ছেন। আজ দিল্লি পাটিয়ালা হাউস আদালতে হাজিরা দেবেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। তবে এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। তবে সোনিয়া ও রাহুল আদালতে জামিনের আবেদন জানাবেন, নাকি জামিন না নিয়ে জেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে লড়াইটাকে রাজনীতির আঙ্গিনায় টেনে নিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে কংগ্রেসের তরফ থেকে গতকালও কিছু জানানো হয়নি। তবে কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র এবং এ মামলার প্রধান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, তারা আইনি পথেই  লড়াই চালিয়ে যাবেন।

দেশটির ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকা নিয়ে সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী ২০১২ সালে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আজ আদালতে যাচ্ছেন সোনিয়া ও রাহুল। এর আগে এ মামলা সোনিয়া-রাহুলদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন দিল্লি হাইকোর্ট। কোর্ট আদেশ দেন নিম্ন আদালতে তাদের আত্মসমর্পণ করতে। এরপর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার’ অভিযোগ তোলা হয়। প্রতিবাদের ঢেউ সংসদেও আছড়ে পড়ে।

ন্যাশনাল হ্যারল্ড পত্রিকাটি বের করেন জওহরলাল নেহরু ১৯৩৮ সালে। এজন্য অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল) নামে একটি কোম্পানি খোলা হয়, যার শেয়ার হোল্ডার ছিলেন ৭৬১ জন কংগ্রেস নেতা। নেহরু হন ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রথম সম্পাদক। পরে এ কাগজটি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এ অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত সেই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। পরে কাগজটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ২০০৮ সালে সোনিয়া গান্ধী কাগজটিকে একেবারেই বন্ধ করে দেন। মামলার বাদী সুব্রক্ষ্মণ্যমের মতে, এজেএলের সব সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি রুপি। কিন্তু এজেএলের সব সম্পত্তি পরে কংগ্রেস ইয়ং ইন্ডিয়ান (ওয়াইআই) নামে অন্য একটি কোম্পানির কাছে মাত্র ৫০ লাখ রুপির বিনিময়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থাকে সুব্রক্ষ্মণ্যম ‘বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও তহবিল তছরুপ’ বলে অভিহিত করেছেন।

সর্বশেষ খবর