সোমবার, ২৮ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভোটজ্বরে কাঁপছে পশ্চিমবঙ্গ

অস্তিত্ব ধরে রাখতে ব্যাপক প্রচারণায় মমতা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

মাঝে ‘আর মাত্র এক সপ্তাহ। তার পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার প্রথম দফার প্রথম পর্যায়ের ভোট। তাই ভোট যত এগিয়ে আসছে প্রচারণার পারদও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। রীতিমতো ভোটজ্বরে কাঁপছে গোটা রাজ্য। শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই প্রচারণায় ঝড় তুলেছে। আগামী ৪ এপ্রিল ভোট দিবে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলার ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে খাওয়া-দাওয়া ভুলে গত এক সপ্তাহ ধরে জঙ্গমহলে পড়ে রয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিছিয়ে নেই বিরোধীরাও। সিপিআইএম নেতা রাজ্যটির বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও গড়ে তিন-চারটি আসনে প্রচারণা করছেন। দলের অন্য নেতা-নেত্রীরা তো আছেন-ই। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও খাওয়া নাওয়া ভুলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। আর প্রচারণায় নেমে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। আর ভোটারদের মন জয় করতে চলছে কথার ফুলঝুরি। সারদা থেকে শুরু করে নারদা ঘুষ কেলেঙ্কারি, জমি অধিগ্রহণ নীতি, শিল্প-কারখানা ইস্যু, সবই উঠে আসছে প্রচারণায়। প্রচারণায় এসে বিরোধী বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোটকে লক্ষ্য করে রামধনু জোট বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলার মানুষ এই জোটকে পরাস্ত করবে বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা। মমতার এখন স্লোগান, ‘হাত-হাতুড়ি-পদ্ম, তিনটেই হবে জব্দ’। কখনো আবার শোনা গেছে ‘হাতে বোমা, মুখে প্রেম, এর নাম সিপিআইএম’ কিংবা ‘যতই করো জোট, পাবে নাকো একটাও ভোট’। থেমে নেই বিরোধীরাও। মমতার এই স্লোগানকে পাল্টা দিতে গিয়ে বামেদের স্লোগান ছিল ‘ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা কুল কুল, ঘুষ নিয়েছে তৃণমূল।’ এদিকে গতকাল দেশটিতে সরকারি ছুটি হওয়ায় সকাল থেকেই জনসংযোগে নেমে পড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। টালিগঞ্জে প্রচার সারেন রাজ্যটির যুব কল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বড়বাজারে বিজেপি প্রার্থী রিতেশ তিওয়ারি। জনসংযোগ বাড়াতে প্রত্যেকেই পায়ে হেঁটে প্রচার করেন। সাইকেলে করে প্রচার সারেন যাদবপুরের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।

সর্বশেষ খবর