বাবা-মার আশা মেয়েরা পড়াশোনা করে বড় হবে। এই আশায় দূরে ভালো স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। যে স্কুলে হোস্টেলেরও ব্যবস্থা আছে। কিন্তু অভিভাবকরা কল্পনাও করতে পারেননি, কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে ছুটিতে বাড়ি ফিরবে তারা। দিনের পর দিন ১২ আদিবাসী কিশোরী ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে ওই স্কুলেরই সাত শিক্ষক আর চার কর্মচারী। ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে তিন ছাত্রী। ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটে ভারতের মহারাষ্ট্রের বুলধানা এলাকায় নিনাধি আশ্রমিক স্কুলে।
ওই মেয়েদের গড় বয়স ১২ থেকে ১৪ এর মধ্যে। ধর্ষণের অভিযোগে সাত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বুলধানা জেলার পুলিশ সুপার এস ডি ভাস্কর জানান, ‘আমরা নারী পুলিশ সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি এবং তাদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং সাতজনকে আটক করা হয়েছে।’ বর্বরোচিত এ ঘটনা সামনে আসে যখন ধর্ষিতা ১২ জনের মধ্যে তিন শিক্ষার্থী জলগাঁও জেলার হালখেড়া গ্রামে তাদের বাড়ি ফিরে আসে। গ্রামের উপ-প্রধান বুলেস্তারনি সতি ভোঁষলে জানান, ‘দীপাবলির সময় কয়েকজন নারী দৌড়াদৌড়ি ও খেলাধুলা করছিল, কিন্তু তিনজন শান্ত হয়ে এক কোণায় বসেছিল। আমরা যখন তাদের জিজ্ঞাসা করি, কেন তারা চুপ করে বসে আছে। তখন তারা জানায়, তাদের পেটে ব্যথা করছে। এরপরই আমরা তাদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। চিকিৎসক বলেন ওই তিন মেয়েই অন্তঃসত্ত্বা।’ উপ-প্রধান আরও জানান, ‘আমরা চাই অভিযুক্ত সবাই কঠোর শাস্তি পাক। সরকারের তরফে কাউকেই ছাড়া উচিত নয়।’