শিরোনাম
শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আমন্ত্রণের ভাষার কী শ্রী!

আমন্ত্রণের ভাষার কী শ্রী!

তেরেসা মে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি শপথ নেবেন। এর আগে তার সঙ্গে অনেক রাষ্ট্রপ্রধান ও নেতা দেখা করছেন। গত পরশু দেখা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তবে এর মধ্যে ট্রাম্প ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেকে তার দেশে ‘আমন্ত্রণ’ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু আমন্ত্রণের সময় তার ব্যবহৃত ভাষা দেখে হতবিহ্বল হয়ে গেছেন ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তারা। গার্ডিয়ান পত্রিকার এক খবরে বলা হয়, বেশ অস্বাভাবিক ও অপ্রেসিডেন্টসুলভ কায়দায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। মূলত প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে ফোনে কথা হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের। কিন্তু তাদের সেই কথোপকথনের স্ক্রিপ্ট ফাঁস হয়ে গেছে। এতে দেখা যায়, তেরেসা মেকে ট্রাম্প বলছেন, ‘আপনি যদি আমেরিকায় আসেন, তবে আপনার উচিত হবে আমাকে জানানো।’ আর এ স্ক্রিপ্টের সত্যতা অস্বীকার করেনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বিলিয়নিয়ার ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভের পর এটিই মের সঙ্গে তার প্রথম কথোপকথন ছিল। দুই দেশের ‘বিশেষ সম্পর্কে’র কথা উভয় নেতা পুনর্ব্যক্ত করবেন, এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প যেভাবে মেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা অনেক টুইটার ব্যবহারকারীর মতে, একজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো হয়ে গেছে, রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণ নয়। ব্রিটেনের দ্য টাইমস পত্রিকা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুই নেতার মধ্যে ১০ মিনিটের ফোনালাপ হয়। এ  ফোনালাপের সরকারি প্রতিলিপিতে ট্রাম্পের এমন আমন্ত্রণ রয়েছে। কথোপকথনে ট্রাম্প বলেন, তিনি ব্রিটেনের রানীর বড় ভক্ত। তিনি রানীকে তার শুভেচ্ছা  পৌঁছে দিতেও প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সফরে লাখ লাখ পাউন্ড খরচ হয়। এ সফর ঠিক করতে কয়েক মাস লেগে যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর