সোমবার, ৮ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুই কোটি রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ!

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুই কোটি রুপি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ!

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের বরখাস্ত হওয়া মন্ত্রী কপিল মিশ্র। তিনি বলেছেন, আম আদমি পার্টির সহযোগী নেতা সত্যেন্দর জৈনের কাছ থেকে নগদ দুই কোটি রুপি নিতে দেখেছি কেজরিওয়ালকে। রাজঘাটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে দিল্লির দুর্নীতিবিরোধী ব্যুরোকে (এসিবি) জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রুপি নেওয়ার ঘটনা এসিবিকে জানোনোর বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এ কারণে তাকে মন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন কেজরিওয়াল। উল্লেখ্য, অরবন্দি কেজরিওয়াল সরকারে স্বাস্থ্য ও পিডিবিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন কপিল মিশ্র। তিনি জানান, শুক্রবার আমি কেজরিওয়ালের বাড়িতে ছিলাম। তখন সত্যেন্দর জৈনের কাছ থেকে তাকে নগদ ২ কোটি রুপি নিতে দেখেছি। তার ভাষায়, এটা কি এবং কিসের জন্য আমি তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেজরিওয়াল উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে এমন ঘটনা ঘটেই। এ নিয়ে পরে কথা বলা যায়। এরপর আমি বিষয়টি দিল্লির দুর্নীতিবিরোধী ব্যুরোকে জানাই। নিজের চোখে এই নগদ অর্থ দেখে নীরব থাকার কোনো উপায় ছিল না। তার সংবাদ সম্মেলনের পর পরই দলীয় সহকর্মী মিনিশ সিসোদিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, তার সহকর্মীর অভিযোগ অদ্ভুত। এর জবাব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি জানান, কপিল মিশ্রকে বরখাস্ত করা হয়েছে পানি সরবরাহ ও বিলিং সিস্টেমে অব্যবস্থাপনার জন্য। এরপরই আবার কপিল মিশ্র টুইট করেছেন। জবাবে বলেছেন, আগের দিন পর্যন্ত তারা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য দায়ী করেছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনকে। আর এখন তারা বলছে, (আমাকে বরখাস্তের কারণ হলো) পানি ইস্যু। অরবন্দি কেজরিওয়াল কেন মিডিয়া থেকে লুকিয়ে আছেন?

মমতার চীন সফর বাতিল : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চীন সরকার। এ জন্য প্রস্তুতি শেষ করেছেন মমতা। কিন্তু প্রথমে রাজি হয়েও শেষ পর্যন্ত তার চীন সফরের ছাড়পত্র দিল না কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক সম্পর্কের কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন না, কোনো মন্ত্রী এই মুহূর্তে চীন সফর করুন। শুধু তাই নয়, আগামী মাসে চীনে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ শীর্ষক মেগা-প্রকল্পের সম্মেলনে যাওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে নরেন্দ্র মোদি। একই ভাবে আগামী রবিবার নয়াদিল্লিতে ভারত-রাশিয়া-চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও উপস্থিত থাকবেন না চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের আইন অনুযায়ী, রাজ্যের কোনো মন্ত্রী যদি সরকারিভাবে বিদেশ সফরে যান তা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়। নরেন্দ্র মোদি নিজেও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চীন সফরে গিয়েছেন একাধিক বার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, সেই সময়ে ভারত-চীন সম্পর্ক আজকের মতো সংঘাতপূর্ণ ছিল না, ফলে ছাড়পত্রের সমস্যা হয়নি। মোদি গিয়েছিলেন চীনের গুয়াংজু প্রদেশে। গুজরাট এবং গুয়াংজু পারস্পরিক আদান-প্রদানের জন্য বিশেষভাবে চিহ্নিত। একই ভাবে কলকাতা এবং ইউনান প্রদেশের কুনমিং-ও ‘সিস্টার সিটি’। মমতাকে প্রাথমিকভাবে কুনমিং যাওয়ার জন্য যখন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, রাজি হয়েছিলেন মোদি। টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সর্বশেষ খবর