আবু বকর আল-বাগদাদী। যার হাত ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আবির্ভূত হয় ইসলামী স্টেট বা আইএস। তিন বছর আগে আইএসের প্রধান হিসেবে মসুল শহরের বিখ্যাত আল-নুরি মসজিদে খুত্বা দিয়ে তথাকথিত খেলাফতের ঘোষণা দেন। ইরাকের মসুল শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস তাদের ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয়। আইএস সে সময় অনেক বড় বড় অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু সে সময় থেকেই এই জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াই শুরু হয় এবং আস্তে আস্তে তারা বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে। কিন্তু আবু বকর আল-বাগদাদী নামে আইএসের ওই নেতা, যার সন্ধান পাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আড়াই কোটি ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে- সেই ব্যক্তি এখন কোথায় বা কী করছে বা তার সঙ্গে কিছু ঘটেছে কিনা সে বিষয়টি এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। আর এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই দাবিও করা হয় যে, আইএস প্রধান আল-বাগদাদী হয়তো রাকায় চালানো রুশ বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। তবে ২০১৪ সালের ওই ভিডিওর পরে আল-বাগদাদীর কোনো কথা শোনা যায়নি। তবে গত বছর নভেম্বর মাসে যখন ইরাকি সেনাবাহিনী মসুল পুনর্দখলের লড়াই শুরু করে তখন আল-বাগদাদীর একটা অডিও বার্তা প্রকাশ করে আইএস। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৮ মে রাকায় ইসলামিক স্টেটের এক কথিত গোপন সভাস্থল লক্ষ্য করে রুশ বিমান হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তিনশ ত্রিশ জনের মতো ইসলামিক স্টেট যোদ্ধা নিহত হয়। এদের মধ্যে হয়তো আবু বকর আল-বাগদাদীও ছিলেন এবং সেটা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কে এই আবু বকর আল-বাগদাদী? : আবু বকর আল-বাগদাদীর আসল পরিচয় কী তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। আল বাগদাদী তার আসল নাম নয় বলে মনে করা হয়। ধারণা করা হয় ১৯৭১ সালে বাগদাদের উত্তরে সামারা এলাকায় আল বাগদাদীর জন্ম। ২০০৩ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান চলে, তখন আল-বাগদাদী বাগদাদের কোনো একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন বলে দাবি করা হয় কোনো কোনো রিপোর্টে। অনেকের বিশ্বাস, সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলেই আল-বাগদাদী জঙ্গি জিহাদিতে পরিণত হয়েছিল। বিবিসি বাংলা