দুই দিন আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমেরিকা আর জাতিসংঘ বা কোনো দেশের দিকে তাকাবে না। কিন্তু একদিন পরেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে পুরো উল্টো মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা আপনাদের শত্রু নই।’ তিনি আরও বলেন, বরং কিছু বিষয়ে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংকালে টিলারসন এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়াকে থামাতে যুদ্ধের বিষয়টি বিবেচনার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ কৌশল হিসেবে উত্তর কোরিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাবও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার বহিঃপ্রকাশ টিলারসেনের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন টিলারসন। এর আগে রিপাবলিকান দলীয় এক জ্যেষ্ঠ সিনেটর জানিয়েছিলেন, অন্যতম বিকল্প হিসেবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার কথাও বিবেচনা করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, তাদের সর্বশেষ পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলসহ দেশটির আরও ভিতর দিকে আঘাত হানতে সক্ষম। এ পরিস্থিতিতে টিলারসন বলেছেন, ‘আমরা সরকার পরিবর্তন করতে চাইছি না, আমরা শাসনব্যবস্থাও পরিবর্তনের চেষ্টা করছি না, আমরা উপদ্বীপটির পুনরেকত্রীকরণ ত্বরান্বিত করারও চেষ্টা করছি না, যে কোনো ছুঁতায় ৩৮ প্যারালালের (দুই কোরিয়ার সীমান্ত) উত্তর দিকে আমাদের সামরিক বাহিনীও পাঠাতে চাইছি না। টিলারসন জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার মনোভাব পরিবর্তনে শান্তিপূর্ণ এই কৌশল বজায় রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও কঠোর করা হবে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যে আনার প্রচেষ্টায় উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি অব্যাহত রাখলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে বলেছেন বলে জানিয়েছেন রিপাবলিকান দলীয় জ্যেষ্ঠ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। এনবিসি টেলিভিশনের এক টকশোতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথোপকথনের কথা জানিয়ে গ্রাহাম বলেছেন, ‘তিনি আমাকে এ কথা বলেছেন। আমি তাকে বিশ্বাস করি।’ বিবিসি।